উঠে এসেছে চাঞ্চল্যকর তথ্য
অভিযোগ ছিল মাদক খাইয়ে ধর্ষণের ফলেই মৃত্যু হয় বিজেপি নেত্রী তথা অভিনেত্রী সোনালি ফোগটের। এই মৃত্যু-রহস্যে উঠে এল আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য। গ্রেফতার করা হল আরও দু’জনকে। সোনালিকে যে ক্লাবে শেষ বার দেখা যায়, গোয়ার সেই ক্লাবের মালিক এবং মাদক পাচারকারী সন্দেহে এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সোনালিকে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করা হয়েছে অভিনেত্রীরই আপ্ত-সহায়ক সুধীর সাঙ্গোয়ান এবং বন্ধু সুখবিন্দর ওয়াসিকে। এ পর্যন্ত এই ঘটনায় মোট চার জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
অভিনেত্রীর ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পরই নড়েচড়ে বসে পুলিশ। শুধু তা-ই নয়, গোয়ার সেই রেস্তরাঁর সিসিটিভি ফুটেজও মিলেছে পুলিশের হাতে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, টলোমলো পায়ে রেস্তরাঁ থেকে বেরোচ্ছেন সোনালি। ঠিক মতো হাঁটতেও পারছিলেন না তিনি। দেখা যাচ্ছে, সহকারীর কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন তিনি। সেই সহকারীকেই গ্রেফতার করা হয়েছে খুন এবং প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে।
পুলিশি জেরায় দুই অভিযুক্তই স্বীকার করেছেন অভিযোগ। সোনালির পানীয়ের মধ্যে তাঁরা ১.৫ গ্রাম ‘এমডিএমএ’ নামক এক ধরনের মাদক মিশিয়েছিলেন বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই মাদক মেশানো জল পান করার পরই অসুস্থবোধ করতে থাকেন সোনালি। তাঁকে হোটেলে নিয়ে আসা হয় এর পর। ইতিমধ্যেই উদ্ধার হওয়া জলের বোতলেও ওই মাদকের সামান্য চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
সোনালির আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা ক্রমেই বাড়ছে। প্রাথমিক অনুমান ছিল, গোয়া সফরে গিয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন তিনি। কিন্তু ময়নাতদন্তের রিপোর্ট বলছে তাঁর শরীর জুড়ে ভোঁতা কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছিল। অভিযোগ উঠেছে, মাদক খাওয়ানোর পর ধর্ষণেরও। সব মিলিয়ে, সোনালি-মৃত্যু রহস্য ক্রমেই জটিল হচ্ছে।