সিধু মুসে ওয়ালার শেষ গান ঘিরে বিতর্ক শুরু।
আততায়ীর গুলিতে প্রাণ গিয়েছিল পঞ্জাবি গায়ক সিধু মুসে ওয়ালার। আঙুল উঠেছিল গ্যাংস্টারদের দিকে। তাই নিয়ে দেশ জুড়ে শোরগোল থিতিয়ে গিয়েছে কিছুটা। এ বার বিতর্কের কেন্দ্রে এল মুসে ওয়ালার শেষ গান। ইউটিউব থেকে মুছে দেওয়া হয়েছে গানটি। এক মাসে যার দর্শক সংখ্যা ছিল প্রায় তিন কোটি ছুঁইছুঁই।
পঞ্জাবি র্যাপার মুসে ওয়ালার শেষ গান, ‘এসওয়াইএল’ মুক্তি পায় গত ২৩ মে, শিল্পীর মৃত্যুর পরে। গত এক মাসে দু’কোটি ৭০ লক্ষ পেরিয়ে গিয়েছিল তার দর্শক সংখ্যা। লাইকের সংখ্যা ৩৩ লক্ষের বেশি। কিন্তু কী এমন হল যে, গানটি সরিয়ে নিতে হল? চণ্ডীগড় সংবাদমাধ্যমের খবর, সরকারের রোষেই এই গান মুছে ফেলতে হয়েছে ইউটিউব থেকে। তবে শোনা যাচ্ছে, ভারতের বাইরে এখনও ইউটিউবে পাওয়া যাচ্ছে গানটির ভিডিয়ো।
গানের শুরুতেই নাকি ধরা রয়েছে রাজনীতি। সংবাদমাধ্যমের দাবি, পঞ্জাবে সরকার গঠনের পরে আম আদমি পার্টির রাজ্যসভা সদস্য সুশীল গুপ্ত ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘২০২৪-এ হরিয়ানায় সরকার গড়ব আমরা। ২০২৫-এ জল পৌঁছে যাবে হরিয়ানার প্রত্যেক চাষির কাছে। এটা প্রতিশ্রুতি নয়, গ্যারান্টি দিচ্ছি।’’ মুসে ওয়ালার গানের শুরুর দিককার পঙ্ক্তির বাংলা তর্জমা বলছে, ‘আমাদের অতীত আর উপজাতি ফিরিয়ে দাও। দিয়ে দাও চণ্ডীগড়, হরিয়ানা, হিমাচল। জল ভুলে যাও, সার্বভৌমত্ব না পেলে এক বিন্দুও দেব না...সেতুর নীচ দিয়ে জল বইবে। তোমরা ভালবাসায় মন জিততেই পারো, কিন্তু আমরা মাথা নত করব না। আমরা জল দেব না তোমাদের, কারণ তোমাদের চাওয়ার ধরনে বড্ড অপমান...।’
শুধু রেখেঢেকে আপ-এর বিরুদ্ধে কটাক্ষই নয়, শিখ বন্দিদের মুক্তির দাবি, শতদ্রু-যমুনা নদী সংযোগকারী খাল নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্ক, বিভিন্ন বিতর্কিত শিখ ব্যক্তিত্ব ও জঙ্গিদের ছবি, পঞ্জাবে জল বণ্টন নিয়ে দীর্ঘ দিনের সমস্যা— সবই উঠে এসেছে গানে। শোনা যাচ্ছে, এই সমস্ত কারণেই নাকি সরকারি তরফে আপত্তি জানানো হয়েছে মুসে ওয়ালার শেষ গান নিয়ে। সরকারের তরফে অভিযোগের আইনি চিঠি পাওয়ার পরেই গানটি মুছে দিয়েছেন ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।