প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের অপছন্দের তালিকায় শ্রুতি।
ধারাবাহিকের শেষেও ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি দাসকে নিয়ে দর্শক-মনে ক্ষোভ রয়েই গেল!
আর মাত্র চারটে দিন। ৩১ অক্টোবর শেষ সম্প্রচার ‘দেশের মাটি’-র। টেলিপাড়ার খবর, প্রতি দিন শ্যুট শেষে কান্নাকাটি করছেন অভিনেতারা। দর্শক-অনুরাগীরা ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন ফ্যান পেজে। ‘রাজা-মাম্পি’ জুটির জন্য তাঁদের মনখারাপ সবচেয়ে বেশি। আচমকা ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাচ্ছে এই অভিযোগ জানিয়েও প্রতি দিন পোস্ট দেখা যাচ্ছে ফেসবুকে। এত কিছুর মধ্যেও ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি দাসের কিন্তু রেহাই নেই। দর্শকদের বিরক্তি, গল্পের শেষেও তাঁকেই তুলে ধরার আপ্রাণ চেষ্টা করা হচ্ছে! আনন্দবাজার অনলাইনকে এ প্রসঙ্গে শ্রুতির জবাব, যা চিত্রনাট্যে লেখা থাকে তাই-ই তিনি অভিনয় করে দেখান।
কী থেকে দর্শকদের এই বিরূপ প্রতিক্রিয়া? ফ্যানপেজের পোস্ট বলছে, ‘এখনও কেউ মাম্পির প্রশংসা করলে নোয়া রানির মুখ ভার হয়! নিজের দোষে চাকরি হারিয়েছে। এখন আবার দাদুর সুপারিশে চাকরিতে ঢুকবে। অথচ সে-ই চ্যানেলের মুখ! শেষ সপ্তাহেও তাকেই প্রচার করা হচ্ছে।’ অনুরাগীদের দাবি, এই ভুলগুলোই মেগাকে শেষের দিকে এগিয়ে নিয়ে গেল। এখানে চরিত্রগুলোর মধ্যে সমীকরণ পরিষ্কার নয়। শেষ মুহূর্তেও তাই প্রচুর জটিলতা।
শ্রুতি প্রথম দিন থেকেই দর্শকদের অপছন্দের তালিকায়। সারাক্ষণ তার তুল্যমূল্য বিচার চলেছে ‘মাম্পি’ ওরফে রুকমা রায়ের সঙ্গে। তার গায়ের রং নিয়েও প্রবল আপত্তি। সব মিলিয়ে ‘নোয়া-কিয়ান’ জুটি ‘রাজা-মাম্পি’র মতো দর্শক-প্রিয় হয়নি। শ্রুতিকে সরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েও বহু পোস্ট দেখা গিয়েছে। সেই সময় ‘রাজা’ ওরফে রাহুল অরুণোদয় বন্দ্যোপাধ্যায় দর্শকদের তীব্র ভর্ৎসনা করেন। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ জানান রুকমা। তবু দর্শক-মন বদলালো না!
কী বলছেন শ্রুতি? প্রতি বারের মতো এ বারেও তিনি স্পষ্ট বলেছেন, ‘‘চ্যানেল বা প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে আমি ব্যক্তিগত ভাবে যুক্ত নই। আমাদের যা নির্দেশ দেওয়া হয় সেটাই পালন করি। কেন শুরু হয়েছিল? কেনই বা শেষ হয়ে যাচ্ছে? কেন মাম্পির প্রশংসায় নোয়ার মুখ ভার হয়? এ সব শ্রুতি জানেন না।''