ভাইয়ের সঙ্গে রিয়া। ফাইল চিত্র।
মাদক কাণ্ডে শৌভিক চক্রবর্তী এবং স্যামুয়েল মিরান্ডাকে আপাতত চার দিন নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর (এনসিবি)-র হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিল মুম্বইয়ের এসপ্ল্যানেড কোর্ট। শনিবার সকালে শৌভিক এবং স্যামুয়েলের ডাক্তারি পরীক্ষার পর তাঁদের আদালতে পেশ করা হলে তাঁদেরকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এনসিবি-র তরফে এক সপ্তাহ হেফাজতে রাখার অনুরোধ জানান হয়। মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এনএন জোশী সাত দিনের বদলে চার দিন, অর্থাৎ আগামী ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দুই অভিযুক্তকে এনসিবি’র হেফাজতে থাকার সিদ্ধান্ত জানান।
শুক্রবার রাতে ভারতীয় সংবিধানের ২০(বি)ধারা অনুযায়ী, মাদক তৈরি,পাচার এবং সরবরাহের অভিযোগে রিয়া চক্রবর্তীর ভাই শৌভিক এবং সুশান্তের প্রাক্তন হাউজ ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে গ্রেফতার করে এনসিবি। এনসিবি সূত্রে খবর, শৌভিককে জেরার সময় মাদক কাণ্ডে জড়িত আরও বেশ কয়েকজনের নাম তাদের হাতে এসেছে। জেরা করা হবে তাঁদেরও। শুধু তাই নয়, দিদি রিয়া এবং ভাই শৌভিককেও মুখোমুখি বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষ সূত্রে খবর, রবিবারই তাদের দফতরে রিয়াকে ডেকে পাঠাবে এনসিবি।
আরও পড়ুন- ‘আর ফিরে এলেন না ম্যাম’, সুশান্ত-সারার প্রেম নিয়ে অজানা তথ্য ফাঁস রক্ষীর
মাদকচক্র খুঁজতে গিয়ে এনসিবি ইতিমধ্যেই জায়িদ ভিলাত্রা ও আব্দুল বাসিত পারিহার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার আদালতকে এনসিবি’র তরফে জানানো হয়, পারিহার কার্ড, নগদ টাকার বিনিময়ে বিভিন্ন হাই প্রোফাইল পার্টিতে মাদক পাচার করত।বসিত মুম্বইয়ের ড্রাগ সিন্ডিকেটের একজন সক্রিয় সদস্য বলে দাবি করেছে এনসিবি। কোর্টে এনসিবি বলেছে, পারিহার তাদের জানিয়েছে, শৌভিকের নির্দেশেই ভিলাত্রা ও কাইজানের থেকে মাদক কিনত সে। এনসিবি সূত্রে আরও জানা যাচ্ছে, স্যামুয়েল মিরান্ডা গুগুল পে ব্যবহার করে মাদক কিনেছিলেন বসিতের থেকে। অন্যদিকে, সিবিআই-ও তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। সিবিআই সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার সকালে সিবিআইয়ের একটি দল সুশান্ত সিংহ রাজপুতের বান্দ্রার ফ্ল্যাটটি ফের পরিদর্শনেযায়। সঙ্গে ছিলেন অভিনেতার পরিচারক নীরজ এবং বন্ধু সিদ্ধার্থ পিঠানি। বিশেষ সূত্র থেকে জানা যাচ্ছে, আজ ডিআরডিও অফিসে জেরা করা হচ্ছে সুশান্তের দিদি মিতু সিংহ। রয়েছেন সুশান্তের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বলে দাবি করা প্রযোজক সন্দীপ সিংহ। জেরা করা হচ্ছে তাঁকেও।
শুক্রবার সকালে রিয়ার বাড়িতে হানা দিয়েছিল নারকোটিক্স কন্ট্রোল বুরোর (এনসিবি) একটি দল। স্যামুয়েলের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় তারা। পরে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শৌভিক ও স্যামুয়েলকে নিয়ে যাওয়া হয় এনসিবি-র দফতরে। প্রথমে আটক করা হয়েছিল তাঁদের, পরে গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে।