রাজপথে শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
জীবননান্দ দাশ তাঁর সুচেতনা কবিতায় লিখেছিলেন, ‘কলকাতা একদিন কল্লোলিনী তিলোত্তমা হবে’। কয়েক বছর পেরিয়ে আজ যেন ফের কল্লোলিনী হল কলকাতা। রাজপথে নেমেছেন সমাজের সর্ব স্তরের মানুষ। শুধু মহিলারাই নন, সঙ্গে রয়েছেন পুরুষেরাও। বাদ নেই টালিগঞ্জের তারকারা। ১৫ অগস্ট অ্যাকাডেমির সামনে ‘মেয়েদের রাত দখল’ কর্মসূচিতে শামিল হলেন কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়, শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়, নন্দিতা রায়, জিনিয়া সেন প্রমুখ। রাজপথে নেমে কী বললেন তাঁরা?
পরিচালক নন্দিতা রায় বলেন, ‘‘ এই ঘটনা আমাকে নাড়া দিয়েছে, আমি মর্মাহত, কষ্ট পেয়েছি। স্বাধীনতার এই দিবসে প্রতিটা নারীর জন্য স্বাধীনতা চাইছি। খোলা বাতাসে, খোলা আকাশে তাঁরা যেন নির্ভয়ে কাজ করতে পারে। মেয়েদের স্বাধীনতা দাও, এটাই চাইছি।’’
নন্দিতা রায়ের মতো স্তম্ভিত শিবপ্রসাদ। তিনি রাজপথে দাঁড়িয়ে আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেন, ‘‘আমার মনে হচ্ছে আমাদের মনুষ্যত্বের জায়গাগুলো মরে গিয়েছে। নিজের কর্মস্থলে কোনও মেয়ের সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটে তা হলে আমরা কোথাও নিরাপদ নই।’’ পরিচালকের প্রশ্ন, এত দিন কেটে গেলেও বিচার মিলল না কেন? অন্য আন্দোলনের মতো এই কর্মসূচিও প্রতীকী হয়ে থাকবে না বলেই ধারণা পরিচালকের।
এই কমসূর্চির প্রথম থেকেই মহিলাদের সঙ্গে থাকার কথা বলেছিলেন পরিচালক কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়। ১৫ অগস্টের রাতে তিনি বলেন, ‘‘এই পথে নামা একেবারেই স্বতঃস্ফূর্ত। প্রতিটা রাস্তায় এত লোক যে, আমার এখানে আসতে দেরি হল। এই ঘটনা যেমন যুগ যুগ ধরে ঘটে আসছে নতুন কিছু নয়, তেমনই এই ঘটনার পর সরকার, বিরোধী সব পক্ষের কাছেই অনুরোধ রইল আমার যে, তাঁরা যেন এই ঘটনার বিচারে বিলম্ব না করেন। তাঁরা যাতে এক জায়াগায় এসে দোষীকে শাস্তি দেন। এটা সমাজের অসুখ, সেটাকে উপড়ে ফেলতে হবে। আমাদের সরকার ও বিরোধীরা একত্রিত হয়ে এই কাজটি করুক এটাই চাইব।’’