যাদবপুরে জমায়েতে রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
‘মেয়েদের রাতের দখল’ কর্মসূচির ডাকে ইতিমধ্যেই ভিড় জমতে শুরু করেছে যাদবপুর ৮বি বাসস্ট্যান্ড, কলেজ স্ট্রিট ও অ্যাকাডেমি চত্বরে। যাদবপুর ৮বি চত্বরে জমায়েতে শামিল হয়েছেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায়। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “সাধারণ মানুষ সত্যিই খেপে উঠেছেন। যাঁরা এসেছেন তাঁরা কোন রাজনৈতিক দলকে ভোট দেন আমি জানি না। প্রচুর বন্ধুবান্ধবকে দেখতে পাচ্ছি। তাঁরা কেউই সরাসরি রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন।” তিনি আরও জানালেন, প্রচুর মানুষ যোগ দিয়েছেন, যাঁদের দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় তাঁরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত নন। তাঁর মতে, অরাজনৈতিক বলে কিছু হয় না, কারণ তাঁরা প্রত্যেকেই ভোটার। তবে এই প্রতিবাদমূলক জমায়েত অরাজনৈতিক।
“মৃতা চিকিৎসককে ওই অবস্থাতে দেখেও অধ্যক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করলেন না!” ক্ষোভ উগরে দিলেন অভিনেত্রী। “যে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী একই সঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এবং পুলিশমন্ত্রীও, তিনি এই ধরনের পরিস্থতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে একজনকে অপরাধী হিসাবে সামনে এনে দেখিয়ে দিলেন!” তাঁর নিশানায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি আরও জানালেন, যে সময় ধরে কাজটি হয়েছে তা এক জন অপরাধীর পক্ষে সম্ভব নয়। যে পরিমাণ বীর্য পাওয়া গিয়েছে তা এক জন পুরুষের পক্ষে সম্ভব নয়। “চোখে ও শরীরের অন্যান্য জায়গায় আঘাত করে ঝুলিয়ে দেওয়া সম্ভব নয় একটা মানুষের পক্ষে। এটা কত ক্ষণ ধরে হয়েছে, আসলে কী ঘটেছে তা সামনে নিয়ে আসা উচিত ছিল। উনি (মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) কোনও বিশেষ কারণে অধ্যক্ষকে আড়াল করছেন”, বললেন রূপা।
তাঁর কথায়, “যারা ৩৬ ঘণ্টা ডিউটি করেছেন, যদি তাঁদের প্রত্যেকের পুঙ্খানুপুঙ্খ বয়ান নেওয়া যায়, তা হলে অনেক সত্য প্রকাশ্যে আসবে। সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার দেওয়া হয়েছে। আশা করি, সুরাহা মিলবে। সেমিনার হল পর্যন্ত ভাঙতে শুরু করে দিল ওরা!” সুদীপ্তা-বিদীপ্তার ফেসবুক পোস্ট দেখে এই জমায়েতের কথা জানতে পারেন বলে জানালেন তিনি। ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক ও সাধারণ মানুষকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অভিনেত্রী। দেশের নানা জায়গায় প্রতিবাদে নেমে পড়েছেন জনসাধারণ। তাই তাঁর আর্জি, “জনসাধারণের কথা শুনুন। তাঁরাই এই প্রতিবাদের মুখ।” তবে তিনি মনে করেন, এখানেই শেষ নয়। এটা প্রথম নিদর্শন মাত্র।