(বাঁ দিকে) শাহিদ কপূর। আমির খান (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
সুঅভিনেতা হিসেবে তিনি বার বার নিজেকে প্রমাণ করেছেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শাহিদ কপূরের নিজস্ব অনুরাগী বৃত্তও তৈরি হয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতাদের কাছে ছবির প্রস্তাব আসতেই থাকে। কোনও চরিত্রে হয়তো ‘না’ বললেন কোনও অভিনেতা। কিন্তু, পরে সেই ছবিই ‘বৈগ্রহিক’ তকমা পেলে তখন আর কিছু করার থাকে না। শাহিদের জীবনেও এ রকম ঘটনা ঘটেছে।
২৫ ফেব্রুয়ারি রবিবার শাহিদের জন্মদিন। আর জন্মদিনের প্রাক্কালে কেরিয়ার প্রসঙ্গে একটি নতুন তথ্য প্রকাশ করেছেন অভিনেতা। সম্প্রতি শাহিদ একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, তাঁর কাছে এক সময় ‘রং দে বসন্তী’ ছবিটিতে অভিনয়ের প্রস্তাব আসে। ২০০৬ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ও রাকেশ ওমপ্রকাশ মেহরা পরিচালিত ছবিটি সে সময় দেশ জুড়ে সাড়া ফেলে দেয়। ছবিতে মুখ্য চরিত্রে আমির খান এবং পাশাপাশি দক্ষিণী অভিনেতা সিদ্ধার্থ, শরমন জোশি ও কুণাল কপূরের অভিনয় নতুন প্রজন্মের প্রশংসা কুড়িয়ে নেয়। তবে শাহিদ জানিয়েছেন, ছবিতে কিন্তু তাঁকে আমিরের চরিত্রের প্রস্তাব দেওয়া হয়নি। সম্প্রতি অভিনেত্রী নেহা ধুপিয়ার চ্যাট শোয়ে এসে শাহিদ জানান, ছবিতে কর্ণ সিংহানিয়া চরিত্রটির জন্য নির্মাতারা প্রথমে তাঁকে ভেবেছিলেন। কিন্তু ওই চরিত্রে পরে সিদ্ধার্থ সুযোগ পান।
‘রং দে বসন্তী’র মতো ছবি শাহিদ কেন ছেড়েছিলেন, সে কারণও খোলসা করেছেন। তিনি জানান, অন্য কাজের ব্যস্ততার জন্যই পরিচালককে তখন তাঁকে না বলতে হয়েছিল। শাহিদ বলেন, ‘‘ছবিটা না করার জন্য এখনও আমার অনুশোচনা হয়। আমাকে সিদ্ধার্থ অভিনীত চরিত্রটিতে অভিনয় করতে বলা হয়। এত সুন্দর চিত্রনাট্য পড়ে কেঁদে ফেলি। কিন্তু দুঃখের বিষয়, ছবিটার জন্য সময় বার করতে পারিনি।’’ শাহিদের মুখে এই খবর শুনে অভিনেতার অনুরাগীদের একাংশ বিস্মিত হয়েছেন।
সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে শাহিদ অভিনীত ছবি ‘তেরি বাতোঁ মেঁ অ্যায়সা উলঝা জিয়া’। ছবিটি নিয়ে সমালোচক মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও বক্স অফিস অন্য কথা বলছে। ছবিটি বক্স অফিসে এখনও পর্যন্ত ৫০ কোটি টাকারও বেশি ব্যবসা করেছে।