করিনা কপূর, বিদ্যা বালন থেকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। শাহিদ কপূরের প্রেমে পড়েছেন বলিউডের একাধিক সুন্দরী। শুধু টিনসেল টাউনই নয়। এর বাইরেও শাহিদের প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছে। টেনিসসুন্দরী সানিয়া মির্জাও নাকি ছিলেন তাঁর প্রণয়ী।
বেশি দিন স্থায়ী না হলেও সম্পর্কের অভিঘাত ছিল গভীর। দু’জনের প্রথম দেখা হয়েছিল কমন বন্ধুর জন্মদিনের পার্টিতে। প্রথম আলাপেই বুঝে যান, একে অন্যের সঙ্গ তাঁরা উপভোগ করছেন। আলাপ ঘনিষ্ঠ হতে সময় লাগেনি।
শাহিদ-সানিয়া কোনও দিন নিজেদের সম্পর্ক লুকিয়ে রাখার চেষ্টা করেননি। মাঝে মাঝেই একে অন্যের হাত ধরে থাকা অবস্থায় তাঁদের দেখা যেত প্রকাশ্যে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
২০০৯ সাল থেকে শাহিদ-সানিয়ার প্রেমের সূত্রপাত। ‘কামিনে’ ছবির সেটে প্রায়ই যেতেন হায়দরাবাদি সুন্দরী। এক বার বেঙ্গালুরুর শেরাটন গ্র্যান্ড হোটেলে নিভৃতে সময় কাটাতে যান তাঁরা। কিন্তু তা জানাজানি হয়ে যায়।
সেই হোটেলের এক রুমবয় তাঁদের একান্ত সময় যাপনের কথা বাইরে ফাঁস করে দেন। তার পর থেকেই দেশের অন্যতম পাওয়ার কাপল হিসেবে ধরা হচ্ছিল শাহিদ-সানিয়াকে।
ঘনিষ্ঠতা এতই বেড়ে যায় যে, নিজের কাজ অনুমোদন করানোর জন্যও শাহিদ নির্ভর করতে শুরু করেন সানিয়ার উপর। সানিয়ার সবুজ সঙ্কেত পেলে তবেই সেই কাজে রাজি হতেন শাহিদ।
ক্রমশ জীবনের সব সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে সানিয়ার উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছিলেন শাহিদ। করিনার সঙ্গে ভেঙে যাওয়া প্রেমের ক্ষতের প্রশমন তিনি খুঁজে পেয়েছিলেন সানিয়ার কাছে। ব্যাঙ্ককে শাহিদের এক বন্ধুর পার্টিতেও একসঙ্গে গিয়েছিলেন দু’জনে।
শাহিদ-সানিয়ার সম্পর্ক স্থায়ী হয়েছিল মাত্র ৬ মাস। কিন্তু কেন ভেঙে গেল এই সম্পর্ক? দু’জনের কেউই এ বিষয়ে মুখ খোলেননি। তবে গুঞ্জন, সম্পর্ক ভেঙে চলে গিয়েছিলেন সানিয়া-ই। তিনি নাকি একই সময়ে শাহিদের পাশাপাশি এক তেলুগু তারকার সঙ্গেও সম্পর্ক রেখেছিলেন।
এই সম্পর্ক নিয়ে নাকি খুশি ছিলেন না সানিয়া। অন্তত তাঁর ঘনিষ্ঠ মহলের দাবি সে রকমই। তাঁর অভিযোগ ছিল, শাহিদ তাঁকে ব্যবহার করছেন। নিজেকে শাহিদের ‘ট্রফি গার্লফ্রেন্ড’ বলে মনে হত সানিয়ার।
অন্য দিকে এও শোনা যায়, সানিয়ার সঙ্গে সময় কাটাতে ভালবাসতেন শাহিদ। সে জন্য নাকি তিনি বিশাল ভরদ্বাজকে অনুরোধ করে ‘কামিনে’-এর শুটিং রেখেছিলেন হায়দরাবাদে। সানিয়াকে পাবেন বলে।
যদিও শাহিদের অতিরিক্ত অধিকারবোধ ভাল লাগত না সানিয়ার। ঘনিষ্ঠ মহলে অভিযোগ করেছিলেন, তাঁদের সম্পর্কে শাহিদ তাঁকে কোনও স্পেস দেন না। শাহিদের সঙ্গে প্রেম ভেঙে বেরিয়ে আসার পরের বছরই সানিয়া বিয়ে করেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার শোয়েব মালিককে।
শাহিদ অবশ্য এত তাড়াতাড়ি সাতপাকে বাঁধা পড়েননি। সানিয়ার সঙ্গে বিচ্ছেদের পরেও প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার সঙ্গে তাঁর প্রেমের গুঞ্জন শোনা গিয়েছিল। ২০১৫ সালে তিনি বিয়ে করেন দিল্লির তরুণী মীরা রাজপুতকে।