টলিউডের জনপ্রিয় জুটির তালিকায় এক সময়ে প্রথম দিকে নাম ছিল তাঁদের। শাহিদ কপূর এবং করিনা কপূর। পর্দা এবং বাস্তব— দুই জায়গাতেই দু’জনের প্রেম নিয়ে মাতামাতি ছিল দর্শকের মধ্যে। কিন্তু বাস্তবে সেই দু’টি মানুষের সঙ্গে জুড়েছে অন্য দুই মানুষের নাম। শাহিদ-করিনার বদলে শাহিদ-মীরা (রাজপুত) এবং করিনা-সইফ (আলি খান পটৌডি)।
‘ফিদা’ ছবি মুক্তির পর থেকেই দুই তারকা সন্তানের মধ্যে প্রেম পর্বের শুরু। ২০০৪ সালের সেই ছবির পর আরও কয়েকটি ছবিতে জুটি বাঁধেন দুই কপূর। ‘চুপকে চুপকে’, ‘চায়না টাউন’, ‘জব উই মেট’।
জানা যায়, শাহিদকে ‘ডেট’-এ নিয়ে যেতে অনেক কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল করিনাকে। করিনাই প্রথম প্রেম নিবেদন করেন।
কিন্তু ২০০৭ সালে ‘জব উই মেট’ ছবিতে অভিনয় করার সময় থেকেই তাঁদের সম্পর্কে ছেদ পড়ে। প্রেমের কথাও যেমন গোপন করেননি তাঁরা, বিচ্ছেদের কথাও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন শাহিদ এবং করিনা।
শোনা গিয়েছিল, করিনার দিদি করিশ্মা কপূর এবং মা ববিতা তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিলেন।
তা ছাড়া আরও একটি সূত্রে দাবি, ‘টশন’ ছবির শ্যুটিংয়ের সময়ে সইফের সঙ্গে করিনার ‘বন্ধুত্ব’ নিয়ে সমস্যা শুরু হয় শাহিদের। সেটিও নাকি তাঁদের বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ।
তার পরেই বিচ্ছেদ। আর তার পর থেকেই করিনার সঙ্গে সইফের ঘনিষ্ঠতা নজরে আসতে থাকে অনুরাগীদের।
দুই তারকার বিচ্ছেদের আগে ঘটে যায় এক অপ্রত্যাশিত ঘটনা। দু’টি এমএমএস ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে নেটমাধ্যমে। তার একটিতে করিনা এবং শাহিদকে গভীর চুম্বন করতে দেখা যায়।
আর একটি ভিডিয়োয় কেবল করিনাকে দেখতে পাওয়া যায়। ভিডিয়োয় এক এক করে নিজের পোশাক খুলতে থাকেন তিনি।
একাধিক সংবাদমাধ্যমের দাবি, শাহিদ কপূরের ফোনেই রেকর্ড ছিল সেই দু’টি ভিডিয়ো। ভিডিয়ো ফাঁস করার পিছনে সন্দেহের আঙুল ওঠে পঙ্কজ-পুত্রের উপর।
যদিও শাহিদ এবং করিনা, দু’জনেই সেই এমএমএস প্রসঙ্গে জানিয়েছিলেন, প্রযুক্তির সাহায্যে কিছু কারচুপি করা হয়েছে। ভিডিয়োর দু’টি মানুষ তাঁরা নন।
শাহিদ-করিনার দীর্ঘকালীন সম্পর্কের রেশ কাটতে সময় লেগেছে। ২০০৭ সালের পর থেকেই নানা গুজব রটতে থাকে চারদিকে। শাহিদ-করিনার বিচ্ছেদ এবং করিনা-সইফের প্রেম হওয়ার গল্পে বহু দিন পর্যন্ত মজেছিলেন অনুরাগীরা।