(বাঁ দিক থেকে) শাহরুখ খান, নরেন্দ্র মোদী, সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। ছবি: সংগৃহীত।
শাহরুখ খান এমন এক ব্যক্তিত্ব, যিনি না চাইতেই তাঁর নাম বিভিন্ন ঘটনায় জুড়ে যায়। সম্প্রতি কাতারের কারাগার থেকে ৮ জন ভারতীয় নৌসেনা আধিকারিককে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপে দেশে ফেরানো হয়েছে। বিজেপি নেতা ও রাজ্যসভার সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী সমাজমাধ্যমে দাবি করেছন যে, বন্দিদের মুক্তির নেপথ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন শাহরুখ খান। কিন্তু মঙ্গলবার শাহরুখের টিমের তরফে এই দাবি নেহাতই অযৌক্তিক বলে জানিয়ে দেওয়া হয়।
সোমবার কাতারে বন্দি আট জন নৌসেনা আধিকারিককে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল কাতারের আদালত। সেই নির্দেশ নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে টানাপড়েন চলেছে। সোমবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, ওই আট জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের মধ্যে সাত জন ইতিমধ্যে দেশে ফিরেও এসেছেন। মঙ্গলবার তাঁর এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী জানান যে, আগামী কয়েক দিন তিনি সংযুক্ত আরব আমিরশাহি ও কাতার সফর করবেন। এই পোস্টের নীচে সুব্রহ্মণ্যম লেখেন, ‘‘মোদীর উচিত ফিল্ম তারকা শাহরুখ খানকে তাঁর সঙ্গে কাতারে নিয়ে যাওয়া। বিদেশ মন্ত্রক এবং জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা কাতারের শেখদের রাজি করাতে ব্যর্থ হলে, মোদী শাহরুখের সাহায্য নিয়ে তাঁদের অনুরোধ করেন। তার পরে কাতারের তরফে আমাদের নৌসেনার অফিসারদের মুক্তি দেওয়া হয়।’’
যদিও শাহরুখের ম্যানেজার পূজা দাদলানি সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করে সুব্রহ্মণ্যম দাবি নস্যাৎ করে দিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছে, ‘‘কাতার থেকে ভারতীয় নৌসেনার অফিসারদের মুক্তির নেপথ্যে যে শাহরুখ খানের আবদান রয়েছে বলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন। এই ঘটনার সম্পূর্ণ অবদান ভারত সরকারের আধিকারিকদের।’’ এরই সঙ্গে সেখানে লেখা হয়েছে, ‘‘আমাদের যোগ্য নেতারা কূটনৈতিক সমস্যার সুচারু ভাবেই সমাধান করতে পারেন। বাকি ভারতীয়দের মতোই সেনা অফিসারদের দেশে প্রত্যাবর্তনের জন্য শাহরুখ অত্যন্ত খুশি এবং তাঁদের ভবিষ্যতের জন্যও শুভেচ্ছা।’’
সম্প্রতি কাতারের দোহায় এশিয়ান কাপের ফাইনালে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শাহরুখ। সেখানে কাতারের প্রেসিডেন্ট তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে দেখা করেন বাদশা। তার পরেই এই জল্পনার সূত্রপাত বলে মনে করছে শাহরুখের অনুরাগীদের একাংশ।