ধৃত আরিয়ান খান। ফাইল চিত্র
গ্রেফতার হলেন শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খান। শনিবার মুম্বই থেকে গোয়াগামী একটি প্রমোদতরীতে এক মাদক-পার্টিতে অংশ নিয়েছিলেন আরিয়ান। সেখান থেকেই তাঁকে আটক করে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)।
শনিবার রাত থেকে টানা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় আরিয়ানকে। ১৬ ঘণ্টা জেরার পর অবশেষে প্রমোদতরীতে মাদক নেওয়ার কথা কবুলও করেন আরিয়ান। অনুশোচনা প্রকাশ করেই বলেন, মাদক নিয়ে ভুল করেছেন তিনি। দাবি করেন, এর আগে কখনও এমন কিছু করেননি তিনি। গ্রেফতারের পর তাঁকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জেজে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।
এনসিবি সূত্রে খবর, সেই পার্টিতে জামাকাপড়ের সেলাই, মেয়েদের ব্যাগের হাতলের মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল মাদক। শাহরুখ-পুত্রের লেন্স রাখার বাক্স থেকেও নাকি মাদক উদ্ধার করেন এনসিবি-র আধিকারিকরা। আরিয়ানের সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছে মুনমুন ধমেচা এবং আরবাজ মার্চান্টকে।
আরিয়ানের সঙ্গেই আটক করা হয় আরবাজ মার্চেন্ট, মুনমুন ধর্মেচা, ইশমিত সিংহ, মোহক জয়সওয়াল, বিক্রম ছোকার এবং গোমিত চোপড়াকে। শনিার রাতের মাদক পার্টিতে ছিলেন এঁরা প্রত্যেকেই।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
এনসিবি সূত্রের খবর, খতিয়ে দেখা হচ্ছে শাহরুখ-পুত্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলতেন, যোগাযোগ রাখতেন — এ সব কিছুই এখন আতসকাচের তলায়। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই নামী উকিল সতীশ মানশিণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন শাহরুখ। এ বিষয়ে যদিও এখনও মুখ খোলেননি খান পরিবারের কোনও সদস্যই।
কিছু ক্ষণ আগেই র শাহরুখের বাংলো ‘মন্নত’ থেকে বেশ কয়েকটি গাড়ি বেরোতে দেখা যায়। জানা যাচ্ছে, এনসিবি-র দফতরের দিকেই রওনা হয়েছে সেগুলি। তবে শাহরুখ বা গৌরী সেই গাড়িগুলিতে রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।