বিপাকে শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান।
শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান স্বীকার করলেন তিনি মাদক নিয়েছেন। মাদক-বিরোধী সংস্থা (এনসিবি)-র কর্তারা ইতিমধ্যেই মাদক-যোগ নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন শাহরুখ-তনয় আরিয়ান খানকে। এনসিবি সূত্রে খবর, প্রায় ছ’ঘণ্টা জেরার পর আরিয়ান স্বীকার করে নেন, প্রমোদতরীর মাদক পার্টিতে তিনি মাদক নিয়েছেন।
আরিয়ান অনুশোচনা প্রকাশ করে জানিয়েছেন, মাদক সেবন করে তিনি ভুল করেছেন। এর আগে কখনও এমন কিছু করেননি তিনি। ইতিমধ্যেই ছেলের জন্য বিখ্যাত আইনজীবী সতীশ মানশিণ্ডেকে নিয়োগ করেছেন শাহরুখ। সতীশের প্রতিনিধিরা এনসিবি-র দফতরে পৌঁছে গিয়েছেন।
এনসিবি সূত্রে জানা যাচ্ছে, খতিয়ে দেখা হচ্ছে শাহরুখ-পুত্রের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট। তিনি কাদের সঙ্গে কথা বলতেন, যোগাযোগ রাখতেন — এ সব কিছুই এখন আতশকাচের নীচে। কোনও মাদকচক্রের সঙ্গে তিনি যুক্ত কি না, তা-ও জানার চেষ্টা চলছে। বন্ধুদের বিভিন্ন গ্রুপে কী ধরনের আলোচনা করতেন তিনি, তা-ও এখন নজরে তদন্তকারীদের। বেশ কয়েক ঘণ্টা জেরার মধ্যেই আরিয়ান স্বীকার করে নেন, তিনি মাদক নিয়েছেন।
শনিবার রাতে শাহরুখ-পুত্রকে মুম্বইয়ের কর্ডেলিয়া নামে এক প্রমোদতরী থেকে আটক করে এনসিবি। রবিবার সকাল থেকেই তাঁকে জেরা করা হচ্ছে। এখনও পর্যন্ত যদিও এ বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করেনি তারা। কিছু জানানো হয়নি শাহরুখের পরিবারের তরফেও। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, এই পার্টিতে ‘ভিভিআইপি’ তালিকায় নাম থাকায় কোনও প্রবেশমূল্য ছাড়াই ঢুকেছিলেন আরিয়ান। তিনি নিজেই নাকি জেরায় স্বীকার করেছেন এ কথা।
গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
আরিয়ানের বিরুদ্ধে কোনও তথ্য পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্ট্যান্সেস’ (এনডিপিএস) আইনে মামলা দায়ের হতে পারে বলে খবর।
জানা গিয়েছে, কর্ডেলিয়া নামে সেই প্রমোদতরীর পার্টিতে উপস্থিত ছিলেন আরও বেশ কিছু তারকা। কিন্তু এনসিবি যখন হানা দেয়, তখন মাদক সেবন করতে দেখা যায়নি তাঁদের। আপাতত আরিয়ানের থেকেই এই পার্টি সম্পর্কে নানা ধরনের তথ্য নেওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন এনসিবি-র আধিকারিকরা।