‘মন্নত’-এর সামনে দিয়ে বেরিয়ে গেলেন তিনি।
‘বাদশা’র জন্মদিন বলে কথা! বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে ভাসবে না ‘মন্নত’?
ভেসেওছে। শাহরুখ বাড়িতে নেই জেনেও এতটুকু ভাটা পড়েনি আবেগের বন্যায়। ‘এসআরকে’, ‘এসআরকে’ চিৎকারে মুখরিত সাগরপাড়।
নাসিক থেকে ‘মন্নত’-এ এসে হাজির রায়না। কলেজ পড়ুয়া। গলা ফাটাচ্ছিলেন শাহরুখের নামে। জানতেন, হাজারো মানুষের কোলাহল পেরিয়ে তাঁর গলার আওয়াজ পৌঁছবে না কিং খানের কাছে। তাও…
সাংবাদিকের ক্যামেরাকে হাতিয়ার করতে চেয়েছেন কেউ কেউ। ‘ভগবান’-এর উদ্দেশ্যে গিয়েছে ভক্তের বার্তা— ‘‘অনেক দূর থেকে এসেছি এসআরকে। আপনার প্রতি আমাদের ভালবাসা নিঃশর্ত। পাশে থাকব চিরকাল।’’
২ নভেম্বর মাঝরাতে ‘মন্নত’-এর সামনে দিয়েই গাড়ি করে চোখের পলকে বেরিয়ে গিয়েছেন ‘শাহরুখ খান’। আসল নন, নকল। কিং খানের দেখা পাবেন কি না, সেই ধন্দে আর অপেক্ষা সয়নি। এক ভক্ত তাই নিজেই মাঝরাতে শাহরুখ সেজে বসেছেন। নিজের গাড়ির সানরুফ (গাড়ির ছাদের যে অংশ খোলা বন্ধ করা যায়)-এ উঠে বেরিয়ে গিয়েছেন বাকি ভক্তদের দিকে হাত নেড়ে। মুখে মাস্ক ছিল। এক ঝলকের জন্য তাই ভুল বুঝেছেন ভক্তরাও। তার পর কেটেছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা। উন্মাদনা কমেনি এক ফোঁটাও।
গত বছরও জন্মদিনে শাহরুখকে চোখের দেখা দেখতে পাননি অনুরাগীরা। অতিমারি পরিস্থিতিতে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়েছিলেন বাদশা। কথা রেখেছিলেন ভক্তরাও। এ বছর বড় ছেলে আরিয়ানকে ঘিরে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে খান পরিবার। শাহরুখের এ বারের জন্মদিনে তাই ‘মন্নত’-এর কোলাহল থেকে একটু দূরে, আলিবাগের বাগানবাড়ির নিরিবিলিতে চলে গিয়েছেন শাহরুখ-গৌরী। সঙ্গে দুই ছেলে আরিয়ান ও আব্রাম।