Vikram Chatterjee

Vikram Chatterjee: ‘মেঘলা’কে শাসন করা যেত, দিনে দিনে শোলাঙ্কির ‘দুষ্টুমি’ সামলানো কঠিন হয়ে উঠছে: বিক্রম

‘অনুরাগ-মেঘলা’ জুটির সাত বছর পার। এ বার বড় পর্দায় একসঙ্গে বিক্রম-শোলাঙ্কি। কী বদলেছে এত বছরে? আনন্দবাজার অনলাইনে অকপট বিক্রম।

Advertisement

উৎসা হাজরা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ জুন ২০২২ ১৭:১৯
Share:

বিক্রম চট্টোপাধ্য়ায়

সাত বছর পার করে ফেলল ‘ইচ্ছেনদী’। ‘অনুরাগ-মেঘলা’ এ বার জুটিতেই আসছেন বড় পর্দায়। বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও শোলাঙ্কি রায় কতটা বদলে গেলেন এর মাঝে? আনন্দবাজার অনলাইনের মুখোমুখি অভিনেতা।

Advertisement

প্রশ্ন: সাত বছরে কী কী বদলাল?

বিক্রম: অনেক বেশি পরিণত হয়েছি দু’জনেই। আগের চেয়ে ছবি তৈরির প্রক্রিয়া এখন অনেকটা ভাল ভাবে বুঝতে শিখেছি।

Advertisement

প্রশ্ন: আবারও শোলাঙ্কির সঙ্গে জুটি। কতটা উত্তেজিত আপনি?

বিক্রম: ২০১৫ নাগাদ শুরু হয়েছিল ধারাবাহিক ‘ইচ্ছে নদী’। প্রথম দিন থেকেই বিপুল ভালবাসা দিয়ে এসেছেন দর্শক। এত বছর পরেও যে আমাদের নিয়ে মানুষের এতটা আগ্রহ থাকবে, সত্যিই ভাবতে পারিনি। আমাদের সেই টিমও ছিল দারুণ। ‘শহরের উষ্ণতম দিনে’ শ্যুটিং করার জন্য তাই আরও উত্তেজিত ছিলাম। এই কয়েক বছরে দর্শকের ভালবাসা সেই একই আছে, তা ভেবেই ভাল লাগছে।

প্রশ্ন: এত বছর পরে শোলাঙ্কির মধ্যে কী পরিবর্তন লক্ষ করলেন?

বিক্রম: (কিছুটা হেসে) শোলাঙ্কি অসম্ভব দুষ্টু হয়ে গিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, ওর দুষ্টুমির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। আগে তবু ওকে শাসন করা যেত। এখন তো তা-ও করা যায় না।

প্রশ্ন: শেষ কয়েক বছরে ওয়েব সিরিজ আর বড় পর্দার দিকে ঝুঁকেছেন, টেলিভিশনে আবারও সুযোগ এলে কাজ করবেন?

বিক্রম: এই মুহূর্তে হাতে অনেকগুলো কাজ জমে। ধারাবাহিকে অভিনয় করতে যে সময় দরকার, এখন তা আমার পক্ষে দেওয়া খুব কঠিন। ছবি, সিরিজ করছি বলে ধারাবাহিকে কাজ নিয়ে নাক উঁচু করব, তা কখনও নয়। কারণ ধারাবাহিকই আমাকে প্রথম জনপ্রিয়তা দিয়েছে। পায়ের তলার জমি শক্ত করেছে। সময় দিতে পারব না বলেই আপাতত ধারাবাহিক করব না।

প্রশ্ন: ঐন্দ্রিলা-বিক্রম, শোলাঙ্কি-বিক্রম কোন জুটিকে এগিয়ে রাখবেন?

বিক্রম: শুধু ঐন্দ্রিলা, শোলাঙ্কি কেন, রূপসার সঙ্গে ‘তানসেনের তানপুরা’, ‘রুদ্রবীণার অভিশাপ’ করেছি। দর্শকরা খুব ভালবেসেছেন। আমার আর মধুমিতার ‘কুলের আচার’ আসছে। গান মুক্তি পেল। ভালই বলছে সবাই। দিতিপ্রিয়ার সঙ্গেও ছবি আসছে।

প্রশ্ন: তাহলে ১ থেকে ৫-এ কাকে রাখবেন?

বিক্রম: কেন এমন ভাবে নম্বর দেব? আমি মার খেলে আপনি আমায় বাঁচাবেন?

প্রশ্ন: সারা ক্ষণ এত কাজ করছেন, বিয়ে কবে করবেন?

বিক্রম: ঈশ্বরের আশীর্বাদে সত্যিই হাতে প্রচুর কাজ। এখন যদি বিয়ে করি, যে আসবে, সে তো মোটেই খুশি হবে না। বৌ খুব রেগে যাবে। সময়ই দিতে পারব না। আপাতত তাই চুটিয়ে কাজ করতে চাই।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তেফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement