সত্যজিৎ রায়ের ‘মহানগর’ ছবির পুনর্মুক্তি। ছবি: সংগৃহীত।
‘চাঁদের পাহাড়’ মুক্তি পাচ্ছে! দিন কয়েক আগে দেবের একটি পোস্ট দেখে চমকে গিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। কেন কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ের জনপ্রিয় ছবিটি নতুন করে প্রেক্ষাগৃহে? তা হলে কি ছবির তৃতীয় অধ্যায় তৈরির পথে? তারই আভাস দিলেন অভিনেতা? নানা প্রশ্নে ঘোরাফেরা করছিল সমাজমাধ্যমে। ক্রমশ প্রকাশ্যে আসে নেপথ্য কারণ। এসভিএফের ছবিটি পুনর্মুক্তি পাচ্ছে হালফিলের ধারা মেনে। ইদানীং, নতুন ছবি দেখার পাশাপাশি পুরনো ছবি দেখারও একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছে দর্শকমহলে। মুঠোফোনে নয়, ছবিগুলো বড় পর্দায় দেখতে পছন্দ করছেন তাঁরা। খবর, সেই তালিকায় নাম লেখালেন ‘মানিকবাবু’ ওরফে সত্যজিৎ রায়। ৬১ বছর পরে আগামী শুক্রবার তাঁর ‘মহানগর’ সমস্ত মাল্টিপ্লেক্সে মুক্তি পেতে চলেছে।
১৯৬৩ থেকে ২০২৪। মাঝে লম্বা সময়। তখনকার কলকাতা আর এখনকার কলকাতার মধ্যে ফারাক বিস্তর। কিন্তু আদৌ কি বদল ঘটেছে? নাকি বাহ্যিক বদল ঘটলেও অন্দরে এক সে কাল ও এ কাল?
নবীনা প্রেক্ষাগৃহের মালিক নবীন চোখানি আনন্দবাজার অনলাইনকে জানিয়েছেন, এই ভাবনা নতুন করে এই প্রজন্মের মনে বুনে দিতেই তাঁর প্রেক্ষাগৃহ ফিরিয়ে আনছেন ছবিটি। শহরে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক আন্দোলনকে সামনে রেখে একুশ শতক ফিরে দেখবে ষাট দশকের কলকাতাকে। যেমন, আজকের নারী সহজে রাত দখলে পথে নামতে পারে। সেই যুগে কিন্তু সংসারের প্রয়োজনে চাকরি নেওয়ার আগে তাকে অনেক কিছু ভাবতে হত।
প্রিয়া প্রেক্ষাগৃহের মালিক অরিজিৎ দত্তের প্রশ্ন, “হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘বীরজ়ারা’, ‘পড়োসন’, ‘বম্বে টু গোয়া’র মতো ছবি পুনর্মুক্তির পর দর্শকেরা কিন্তু আগ্রহের সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে এসেছেন। তা হলে সত্যজিৎ রায়ের ছবি নয় কেন? সেই ভাবনা থেকেই এই ছবিটি বেছে নিয়েছি আমরা।” প্রসঙ্গত, ‘মহানগর’ সেই সময়ের শহরের আর্থসামাজিক অবস্থা এবং সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছিল আরতি এবং সুব্রতর মাধ্যমে। ছবিতে এই দুই ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মাধবী মুখোপাধ্যায় ও অনিল চট্টোপাধ্যায়।