অমৃতা-সইফ এবং সারা আলি খান
ছোটবেলায় মা-বাবাকে ‘খারাপ মানুষ’ ভাবতেন সারা আলি খান। সইফ আলি খানের সম্পর্কে তাঁদের বড় মেয়ের ধারণা ছিল, তিনি কেবল খারাপ শব্দ উচ্চারণ করেন। সারার আরও ধারণা ছিল, অমৃতা সিংহ পর্ন সাইট চালান।
কিন্তু এমন ধারণা কেন হয়েছিল সারার?
‘ওমকারা’ ছবিতে ‘ল্যাংড়া ত্যাগী’ চরিত্রে সইফকে দেখে ছোট্ট সারা বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। মনে হয়েছিল, তাঁর বাবা কেবল খারাপ শব্দই ব্যবহার করেন। অন্য দিকে ‘কলিযুগ’ ছবিতে নিজের মা-কে অভিনয় করতে দেখে তাঁর ধারণা হয়েছিল, অমৃতা পর্ন বানানোর পেশার সঙ্গে যুক্ত। কারণ সেই ছবিতে যৌন দৃশ্যের আধিক্য ছিল।
ঘটনাচক্রে সেই দু’টি ছবির জন্য সইফ এবং অমৃতা সেরা অভিনেতা-অভিনেত্রী হিসেবে মনোনীত হন। একটি সংবাদমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময়ে সারা তাঁর ছোটবেলার এই মজার অভিজ্ঞতার কথা জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম তাঁদের পুরস্কার পাওয়ার কথা শুনে। ভেবেছিলাম, কেন ওই সবের জন্য সেরার তালিকায় ওঁদের নাম লেখা হল?’’
সইফ আলি খানের সঙ্গে অমৃতার যখন বিচ্ছেদ হয়, সারার বয়স তখন মাত্র ন'বছর। এর পর মায়ের কাছে থেকে, তাঁর আদর্শেই ধীরে ধীরে বেড়ে ওঠেন অভিনেত্রী। তাই অমৃতাকে ঘিরেই আবর্তিত সারার জীবন। সইফ দ্বিতীয় বিয়ে করলেও (করিনার সঙ্গে) অমৃতা একাই থেকেছেন তাঁর সন্তানদের সঙ্গে।