বলিউডের প্রথম সারির স্টারকিডদের মধ্যে অন্যতম সারা আলি খান। ‘কেদারনাথ’ দিয়ে তাঁর কেরিয়ার শুরু। প্রথম নায়ক সুশান্ত সিংহ রাজপুতের সঙ্গে তাঁর অফস্ক্রিন রোমান্সের গুঞ্জনেও সরগরম ছিল ইন্ডাস্ট্রি। ‘সিম্বা’, ‘লভ আজ কাল’ ছবির সঙ্গে তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করছেন।
সামনেই আসছে তাঁর ছবি ‘আটরঙ্গী রে’। এই ছবিতে তাঁকে দেখা যাবে অক্ষয় কুমারের সঙ্গে জুটিতে। অভিনয়ের পাশাপাশি সারা নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। যোগাযোগ রাখেন ভক্তদের সঙ্গে।
মুম্বইয়ের ধীরুভাই ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পরে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি দেন তিনি। তার পরই হঠাৎ অভিনয়ের সুযোগ পান।
ছবিতে অভিনয় করার পরিকল্পনা সে ভাবে ছিল না সইফকন্যার। ‘হ্যালো’ ম্যাগাজিনের জন্য তিনি মা অমৃতার সঙ্গে ফোটোশ্যুট করেন।
এই ফোটোশ্যুটের পরই তাঁর কাছে মডেলিং ও অভিনয়ের সুযোগ আসতে থাকে।
সারা স্কুলজীবনে মাঝে মাঝেই বেশ দুষ্টুমি করতেন। এক বার দুষ্টুমির জন্য বেজায় বকুনি খেয়েছিলেন। স্কুলের প্রিন্সিপাল নাকি সাসপেন্ড করার ভয়ও দেখিয়েছিলেন।
কী করেছিলেন সারা? তিনি ক্লাসরুমের সিলিং ফ্যানের উপর আঠার কৌটো রেখে দিয়েছিলেন। তার পর যে-ই ফ্যান ঘুরতে শুরু করেছে, কৌটো উল্টে সব আঠা ছড়িয়ে এবং ছিটে এসে পড়ে ক্লাসের পড়ুয়াদের উপর।
ক্লাসের শিক্ষিকার কাছ থেকে খবর যায় প্রিন্সিপালের কাছে। তার পরই তিনি তিরস্কার করেন সারা-কে।
সারা প্রিন্সিপালকে কথা দেন, আর কোনওদিন এই রকম দুষ্টুমি করবেন না। সেই কথা তিনি রেখেছিলেন। আর কোনও দিন এ রকম দুষ্টুমি তিনি করেননি।
পরে এক সাক্ষাৎকারে স্কুলবেলার এই দুষ্টুমির কথা বলেছিলেন সারা আলি খান। জানিয়েছিলেন, স্কুল বা কলেজে তিনি ছিলেন আর পাঁচ জন সাধারণ পড়ুয়ার মতোই।
তিনি যে স্টারকিড তথা পটৌডি পরিবারের সন্তান, সে কথা ভুলে পড়াশোনায় মন দিতে বলতেন সইফ। সেটাই মনে রাখতেন সারা।
তাঁর সঙ্গে সিনেমা নিয়ে আলোচনাও করতেন না সইফ। এমনকি, বড় হয়ে অভিনেত্রীই হতে হবে, এমন কথাও কোনও দিন বলেননি সইফ বা অমৃতা, জানিয়েছেন সারা।
২০০৪ সালে সইফ-অমৃতার বিয়ে ভেঙে যাওয়ার সময় সারার বয়স ছিল ৯ বছর। তার পর তিনি তাঁর ভাই ইব্রাহিমের সঙ্গে বড় হন অমৃতার কাছেই।
তবে সইফের সঙ্গে সারা এবং ইব্রাহিম দু’জনেরই সম্পর্ক ভাল। সইফের দ্বিতীয় স্ত্রী করিনা এবং সইফ-করিনার একমাত্র ছেলে তৈমুরের সঙ্গেও মাঝে মাঝেই দেখা যায় সারা-ইব্রাহিমকে।
দর্শকদের মতে, বর্তমানে স্টারকিডদের মধ্যে সারা অন্যতম জনপ্রিয়। অনেকেই তাঁর মধ্যে ভবিষ্যতের তারকাকে খুঁজে পাচ্ছেন।