বাবার জন্য হীনমন্যতায় ভুগতেন সামান্থা? ছবি: সংগৃহীত।
পিতৃহারা হয়েছেন সামান্থা রুথ প্রভু। দিন কয়েকের মধ্যেই অভিনেত্রীর প্রাক্তন স্বামী নাগা চৈতন্যের বিয়ে। এই সম্পর্ককে পিছনে ফেলে এগিয়ে যেতে বেগ পেতে হয়েছিল তাঁকে। তাই নাগার বিয়ের আগে সামান্থার উপরে নজর রাখছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। তার মধ্যেই অভিনেত্রীর জীবনে শোকের ছায়া। সমাজমাধ্যমে সে কথা জানিয়েছেন তিনি। কিন্তু একটা সময় নাকি বাবার সঙ্গে সামান্থার সম্পর্ক ছিল বেশ জটিল। সে জন্য আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি দেখা দেয় সামান্থার মধ্যে। সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নিজেই বলেছিলেন অভিনেত্রী।
যে কোনও কাজ করলেই, তার স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য মুখিয়ে থাকতেন সামান্থা। নিজের সিদ্ধান্ত, নিজের কাজ নিয়েও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন না তিনি। সামান্থা বলেছেন, “আমি যখন বড় হচ্ছি, অন্যের অনুমোদন ও স্বীকৃতি পাওয়ার অপেক্ষাতেই সময় কেটে যেত। অধিকাংশ ভারতীয় বাবার মতোই ছিলেন আমার বাবা। তাঁরা ভাবেন, সন্তানকে সুরক্ষা দেওয়াই তাঁদের কাজ।”
সামান্থাকে যথেষ্ট সাবলম্বী মনে করতেন না তাঁর বাবা। তিনি ভাবতেন, যে কোনও কাজেই তাঁর মেয়ের সাহায্যের প্রয়োজন পড়বে। বাবার এই ধারণা সামান্থাকে দুর্বল করে তুলেছিলেন। অভিনেত্রীর কথায়, “বাবা আমাকে বলেছিলেন, ‘তুমি খুব একটা সপ্রতিভ (স্মার্ট) না।’ ভারতীয় শিক্ষা এমনই। বাবা এমন বলেছিলেন বলে, আমি সত্যিই অনেকটা সময় ধরে বিশ্বাস করতাম, আমি ‘স্মার্ট’ এবং সাবলম্বী নই।”
সামান্থার মনে হীনমন্যতা গেঁথে গিয়েছিল। ছবি সফল হওয়ার পরেও ভাবতেন, তিনি সাফল্য পাওয়ার যোগ্য নন। অভিনেত্রীর কথায়, “সাফল্য দু’টি কাজ করতে পারে। প্রথমত আপনি ভাবতে পারেন, এই সাফল্যই তো আপনার প্রাপ্য ছিল। দ্বিতীয় আপনি এ-ও ভাবতে পারেন, যে সাফল্য বা ভালবাসা আপনি পাচ্ছেন, তার যোগ্যই নন আপনি। আমি দ্বিতীয়টা ভাবতাম নিজের সম্পর্কে।”
সাফল্য পাওয়ার পরেও ভয় পেতেন সামান্থা। অভিনেত্রী বলেছেন, “আমি ভয় পেতাম। ভাবতাম, এক দিন সকলে বুঝতে পেরে যাবে, আমার কোনও প্রতিভা নেই। আমি ‘স্মার্ট’ নই। তাই নিজেকে কাজ ও চেহারার দিক থেকে উন্নততর করতে উঠে পড়ে লেগেছিলাম।”
২০২১-এ সামান্থা ও নাগা চৈতন্যের বিচ্ছেদ হয়। নাগা জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করছেন শোভিতা ধুলিপালার সঙ্গে। কিন্তু কোনও সামান্থা কি সেই সম্পর্ক থেকে এগোতে পেরেছেন? তা নিয়ে চিন্তিত অনুরাগীরা।