Rhea Chakraborty

সুশান্তের মৃত্যুর কারণ অমীমাংসিত, হাজতবাস হয়েছিল রিয়ার, তবু সামান্থার চোখে তিনিই ‘হিরো’

সুশান্ত সিংহ রাজপুতের মৃত্যুর তিন বছর পর মুখ খুললেন রিয়া চক্রবর্তী। তাতেই ‘হিরো’ তকমা পেলেন, সামান্থার তরফে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

মুম্বই শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৫:৪৩
Share:

(বাঁ দিক থেকে) রিয়া চক্রবর্তী, সুশান্ত সিংহ রাজপুত, সামান্থা রুথ প্রভু। ছবি: সংগৃহীত।

২০২০ সালের জুন মাসে মৃত্যু হয় অভিনেতা সুশান্ত সিংহ রাজপুতের। মৃত্যুর পর বার বার অভিযোগের আঙুল উঠেছে প্রেমিকা রিয়া চক্রবর্তীর দিকে। অভিনেতার মৃত্যুর পর হাজার বিতর্ক দানা বাঁধে তাঁকে ঘিরে। হাজতবাস হয় রিয়া চক্রবর্তীর। প্রায় দু’মাস জেলবন্দি ছিলেন রিয়া। মুম্বইয়ের বাইকুল্লা জেলে বহু দিন থাকার পর জামিনে মুক্ত হন রিয়া। মাঝে প্রায় আড়াই বছর ছিলেন লোকচক্ষুর আড়ালে। একটা সময় রিয়াকে ‘ডাইনি’ অপবাদও দেওয়া হয়। তিনিই সুশান্তকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। তবে সেই কঠিন দিনগুলি পার করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরেছেন অভিনেত্রী। অল্প অল্প করে কাজ শুরু করেছেন। সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের জবাব দিয়েছেন রিয়া। সেই সাক্ষাৎকারের একটি অংশ নিজের সমাজমাধ্যমের পাতায় পোস্ট করে রিয়াকে ‘হিরো’র তকমা দেন সামান্থা রুথ প্রভু।

Advertisement

ওই সাক্ষাৎকারে রিয়া ঘোষণা করেন, তিনি পিতৃতান্ত্রিক সমাজের নিয়ম মানতে নারাজ। সুশান্ত মামলায় যখন অভিনেত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এবং হাজতবাস করতে হয়, সেই সময় পুরুষতান্ত্রিক সমাজের উপরই আঙুল তুলেছিলেন রিয়া। অভিনেত্রী বলেন, ‘‘একটা সময় ছিল যেখানেই যেতাম, মনে হত লোকে যেন আমাকে করুণা করছে। যখন নতুন লোকেদের সঙ্গে কথা বলি, মনে হয় যেন তাঁদের মনের কথা শুনতে পাচ্ছি। মাঝে মাঝে লোকজন আমার দিকে তাকায়, ভাবে আমিই অপরাধী।’’ সেই সময় রিয়ার পাশে বটগাছ হয়ে দাঁড়িয়েছিল তাঁর পরিবার। মা-বাবা ও ভাই। রিয়া জানান, বাবা ভারতীয় সেনায় চাকরি করতেন সেই কারণে মনের জোরও বেশি তাঁর। শুধু বাবা-মা নয়, কিছু হাতে গোনা বন্ধুও ছিল যাঁরা সর্ব ক্ষণ তাঁর পাশে ছিলেন। যাঁদের মধ্যে অন্যতম ফারহান আখতারের বর্তমান স্ত্রী শিবানি দান্ডেকর। রিয়া বার বার জানিয়েছেন, সমাজের চোখ রাঙানিতে তিনি হার মানেননি। তাঁর এই ভাবনাকেই এ বার কুর্নিশ জানালেন সামান্থা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement