সতীশ পরিচালিত ‘তেরে নাম’-এর সেটে অনেকটা সময় কেটেছে ‘ভাইজান’-এর। — ফাইল চিত্র।
সতীশ কৌশিকের অকালমৃত্যু বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এক গভীর বিষাদের ছায়া ফেলে দিয়েছে। অনুপম খের, হনসল মেহতা থেকে শুরু করে কঙ্গনা রানাউত— সতীর্থরা শোকে কাতর। সবার কত শত স্মৃতি তাঁর সঙ্গে! বিষাদ সামলে টুইট করলেন ‘তেরে নাম’-এর নায়ক সলমন খানও। সতীশ পরিচালিত সেই জনপ্রিয় ছবির সেটে অনেকটা সময় কেটেছে ‘ভাইজান’-এর। সতীশের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা সবটুকুই সুখস্মৃতি। সলমনকেও ব্যাপক জনপ্রিয় করেছিল ‘তেরে নাম’।
সলমন লিখেছেন, “সব সময় তাঁকে ভালবেসেছি, শ্রদ্ধা করেছি। তিনি যে মানুষটা ছিলেন, তাঁকে কখনওই ভোলা সম্ভব নয়। কামনা করি সতীশজির আত্মা শান্তি পাক। পরিবারের সবাইকে এই শোক কাটিয়ে ওঠার শক্তি দিন ঈশ্বর, সেই কামনা করি।”
১৯৯৩ সালে ‘রূপ কি রানি চোরোঁ কা রাজা’ ছবির হাত ধরে যাত্রা শুরু পরিচালক সতীশ কৌশিকের। পরবর্তী কালে ‘হম আপকে দিল মে রেহতে হ্যায়’, ‘মুঝে কুছ কেহনা হ্যায়’-এর মতো ছবি পরিচালনা করেন তিনি। সলমন খানের ‘তেরে নাম’ ছবির হাত ধরে পরিচিতি বাড়ে পরিচালক সতীশ কৌশিকের। শুধু পরিচালক হিসাবে নয়, অভিনেতা হিসাবেও নিজের জায়গা তৈরি করেছিলেন তিনি।
৮ মার্চ, মাঝরাতে হঠাৎ বুকে ব্যথা। হাসপাতালে যাওয়ার পথেই হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হয়েছেন অভিনেতা সতীশ কৌশিক। বুধবার রাত তখন ১টা, খবর ছড়িয়ে পড়ে ধীরে ধীরে। দিল্লিতে এক বন্ধুর বাড়িতে ছিলেন সতীশ। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত ঘোষণা করা হয়। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর ফিরিয়ে আনা হয় মুম্বইয়ে। সেখানেই হবে শেষকৃত্য।
গত ৭ মার্চ, জনপ্রিয় গীতিকার জাভেদ আখতার আয়োজিত হোলির উৎসবেও দেখা গিয়েছিল সতীশকে। খবর, তার পরেই হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয় পরিচালক-অভিনেতার। বৃহস্পতিবার ভোরে মেলে তাঁর মৃত্যুর খবর।