(বাঁ দিকে) সলমন খান। সঙ্গীতা বিজলানি (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ষাট ছুঁই-ছুঁই সলমন খান। কিন্তু এখনও তিনি আইবুড়ো। কবে বিয়ের পিঁড়িতে বসবেন অভিনেতা? আদৌ আর বসবেন কি? মাঝেমধ্যেই এই প্রশ্নের মুখোমুখি হন সলমন। কিন্তু এক বলি অভিনেত্রীর সঙ্গে তাঁর বিয়ে হতে হতেও ভেঙে গিয়েছিল। কেরিয়ারের শুরুর দিকে সঙ্গীতা বিজলানির সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান সলমন। বিয়ের কার্ড পর্যন্ত ছাপা হয়ে যায়। কিন্তু সঙ্গীতাকে ঠকান সলমন। সঙ্গীতা হাতেনাতে ধরেও ফেলেন তাঁকে। সেই সময় সলমনের আরও এক প্রেমিকা ছিলেন সোমি আলি। রাতে সোমির বাড়ির পাইপ বেয়ে উঠে জানলা দিয়ে ঘরে ঢুকতে যান সলমন। আর তা ধরা পড়তেই নাকি সঙ্গীতার সঙ্গে সম্পর্ক ভাঙে সলমনের।
১৯৯৪ সালের ২৭ মে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল সলমন এবং সঙ্গীতার। কিন্তু সোমির ব্যাপারে জানার পর এপ্রিল মাসেই বিয়ে ভেঙে দেন সঙ্গীতা। তার পর বেশ কয়েক বছর সলমনের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন সোমি। বেশ কিছু হিন্দি ছবিতে কাজও করেছেন। সলমনের সঙ্গে ‘বুলন্দ’ ছবিতে অভিনয় করেন সোমি।
সেই সময় সঙ্গীতার কেরিয়ার নিভু নিভু। সলমন তখন সাফল্যের সিঁড়ি বেয়ে তরতর করে উঠছিলেন। সলমনকে বিয়ে করে সংসার করবেন এই ছিল সঙ্গীতার ইচ্ছা। তবে হঠাৎ সম্পর্কে ছন্দপতন। এই প্রসঙ্গে সোমি বলেন, ‘‘প্রায় দিনই সলমন আমার বাড়ির পাইপ বেয়ে দেখা করতে আসত। তখন দু’কামরার ঘরে থাকি। সেই রাতটা আমার মনে থাকবে। সাড়ে দশটা নাগাদ সলমন আসে। সেই সময় আমার ফ্ল্যাটে এসে পড়েন সঙ্গীতা। হাতেনাতে ধরেন সলমনকে। সলমন বলে ১০ মিনিটে আসছি। ফিরে এসে বলে আমাদের সম্পর্কটা ভেঙে গেল। সঙ্গীতার সঙ্গে সলমন যা করে পরে আমার সঙ্গেও তা-ই করেছিল। তখন বুঝিনি। পরে ওই কর্মফল ভোগ করতে হয় আমাকেও।”
বেশ কিছু বছর পর নিজেকে বলিউড থেকে সরিয়ে নেন তিনি। যদিও মাঝেমধ্যেই সলমনকে নিয়ে মন্তব্য করে প্রচারের আলোয় আসেন। আপাতত সমাজসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে কাজ করছেন এই প্রাক্তন অভিনেত্রী।