কঙ্গনা রানাউত ও সইফ আলি খান। ছবি: ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনার ফ্যান পেজের সৌজন্যে।
আইফার রাতে ‘নেপোটিজম রকস্’ বলে ঠাট্টা করাটাই যে কাল হয়েছে, তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন কর্ণেরা। বরুণ ধবন, কর্ণ জোহরের পর এ বার লাইনে সইফ আলি খান। আইফার মঞ্চে স্বজনপোষণ প্রসঙ্গে কঙ্গনা রানাওয়াতকে নিয়ে হাসিঠাট্টা করার জন্য ক্ষমা চাইলেন সইফ আলি খান। সরাসরি কঙ্গনাকে টেক্সট মেসেজে লিখলেন, ‘ওটা একটা জোক ছিল’।
একটি টিভি চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে সইফ জানিয়েছেন, ‘‘কঙ্গনাকে এসএমএস করে ওই ঠাট্টায় অংশ নেওয়ার জন্য ক্ষমা চেয়েছি। আসলে ওটা একটা স্ক্রিপ্টের অংশ ছিল। কঙ্গনাকে বুঝিয়ে বলেছি। কঙ্গনাও বুঝেছেন।’’
তবে এ নিয়ে নাকি, বরুণ বা কর্ণের সঙ্গে সইফের কোনও কথা হয়নি। কঙ্গনার সঙ্গে এসএমএসে কথা একেবারেই দু’জনের ব্যক্তিগত।
রবিবার, আইফার মঞ্চে কর্ণ জোহর, বরুণ ধবন ও সইফ আলি খান প্রকাশ্যে বলিউডে স্বজনপোষণ সমর্থন করেন। শুরু হয় কঙ্গনাকে নিয়ে হাসিঠাট্টা। রঙ্গরসের শেষ হয়, ‘বোলি চুরিয়া, বোলে কঙ্গনা’ গান গেয়ে, কর্ণের টিপ্পটিতে। কর্ণ মন্তব্য করেন, ‘‘কঙ্গনা কথা না বললেই ভাল হয়।’’
আরও পড়ুন, শুটিংয়ে গুরুতর আঘাত, হাসপাতালে ভর্তি কঙ্গনা, কপালে ১৫টি সেলাই
এর পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় এ নিয়ে তীব্র হইচই পড়ে যায়। কর্ণদের এমন রঙ্গ-তামাশাকে মোটেই ভাল চোখে দেখেননি নেটিজেনরা। বলিউডের প্রথম সারির পরিচালকের মুখে ‘কুইন’-এর প্রতি এমন ব্যঙ্গ-বিদ্রুপ শুনে প্রতিবাদ করেন টুইটারেত্তিরা।
আইফা মঞ্চে ‘নেপোটিজম রকস্’ চেঁচিয়ে ঠাট্টা। ছবি: এএফপি।
তিন জনের মধ্যে বরুণই প্রথম টুইট করে ক্ষমা চান। পরে কর্ণও বলেন, স্বজনপোষণ নয়, ইন্ডাস্ট্রিতে প্রতিভা ও পরিশ্রমের কোনও বিকল্প নেই। এ বার ক্ষমাপ্রার্থী সইফ আলি খান।
কঙ্গনার অবশ্য এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। প্রশ্ন উঠছে, কঙ্গনা কি তাঁদের ক্ষমা করলেন?