রূপাঞ্জনা মিত্র।
২০১১ থেকেই চিঠি আসে। মুখ্যমন্ত্রীর বিজয়া সম্মেলনীর আমন্ত্রণ। মাঝে ২০১৯-এ চিঠি আসেনি। তার পর করোনার জন্য বিজয়া সম্মেলনী হয়নি।
২০২১। চিঠি এল হলদেটে হাল্কা কারুকাজের খামে। অবাক অভিনেত্রী রূপাঞ্জনা মিত্র।
আনন্দবাজার অনলাইনকে বললেন, “দিদির নেমন্তন্ন পেয়ে যেমন খুশি হয়েছি তেমনি অবাক লেগেছে।“ বিজেপি-র সদস্যকে কি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নেমন্তন্ন করেন? শ্যুটিংয়ের ফাঁকেই জবাব এল। বললেন, “এটা কোনও রাজনৈতিক সমাবেশ ছিল না। কে কোন দলে আছে, তার বিচার এখানে করা হয়নি। বরং শিল্পীদের সম্মান জানানো হয়েছে। খুব ভাল লেগেছে আমার।“
এই সম্মিলনীতে তাঁর রাজনৈতিক রং না দেখে শুধু শিল্পী হিসেবে তাঁকে ডাকা হয়েছিল, এই ভাবনাতেই আজও তিনি মগ্ন। বিজেপি-র সদস্য বলে তিনি যে মুখ্যমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দিতে পারবেন না, এমন নিয়ম তাঁর দলে জারি করা হয়েছে বলে তিনি বিশ্বাস করেন না।
রূপাঞ্জনা মিত্র ও রাজ চক্রবর্তী।
রূপাঞ্জনা মিত্র এই বিজয়া সম্মিলনীতে ছিলেন ৩০ মিনিট। বানতলার শ্যুটিং ফ্লোর থেকে সোজা ইকো পার্কে। দেখা হয়েছে বহু পুরনো বন্ধুদের সঙ্গে। অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, ইমন চক্রবর্তী এবং আরও অনেক গুণী মানুষ হাজির ছিলেন সেখানে। বললেন, “আমাকে দেখেই রাজ (চক্রবর্তী) জায়গা ছেড়ে দিয়ে বসতে দিল। রাজের প্রতি আমার সম্মান বাড়ল। এই যে শিল্পীরা সহকর্মীদের সম্মান করেন, এটাই পাওয়া।” রাজের প্রশংসায় মুগ্ধ অভিনেত্রী, জানালেন, রাজ শুধু ভাল মানুষই নন, পরিশ্রম করে ‘প্রলয়’ ছবির পরিচালক যে ভাবে নিজের জায়গা তৈরি করেছেন তা যে কোনও শিল্পীর কাছে শিক্ষণীয়।
রাজ ডাকলে কি তা হলে তৃণমূলে যোগ দেবেন? আকস্মিক এই প্রশ্নকে সামান্য এড়িয়ে রূপাঞ্জনা বললেন, “যে দল শিল্পীদের সম্মান করেন তাঁদের সঙ্গেই থাকব।”
রাজনীতির বাইরে এমন ‘নিরপেক্ষ’ সন্ধ্যার অংশীদার হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সম্মান পেয়ে তিনি যারপরনাই খুশি।