জগদম্বার চরিত্রে রোশনি ভট্টাচার্য। —নিজস্ব চিত্র।
‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে রাসমণির মেয়ে জগদম্বার চরিত্রে রোশনি ভট্টাচার্য। রাসমণি খুব ভরসা করেন এই মেয়ের ওপর। অন্দরমহল থেকে বাহির মহলের অনেক দায়িত্বই সামলায় সে। সেগুলো ঠিক কী রকম?
রোশনি বললেন, “জগদম্বা এমন এক চরিত্র যে সব সময় সংসার সামলে রাখার চেষ্টা করে। এক দিকে যখন মহেন্দ্র শিকার করতে গিয়ে আটক হয়, গ্রামবাসীর হাতে অলমোস্ট মার খেতে যায়... সেটা থেকে শুরু করে সবই সে সামলাচ্ছে। তার সঙ্গে সঙ্গে মায়ের মন্দির করা নিয়ে মা রাসমণির পাশে আছে। জগদম্বার চরিত্র খুব সাপোর্টিভ হিউম্যান বিইং হিসেবে সবার পাশে আছে।”
এই ধারাবাহিকের মেয়েদের অন্দরমহলের সংলাপ পুরনো কলকাতার কথ্য ভাষা অনুসরণ করে, যার মধ্যে ইংরেজি শব্দ একেবারেই নেই। এই সময়ের মানুষ হিসেবে একটাও ইংরেজি শব্দ না বলে ধারাবাহিকের সংলাপ বলা সহজ? তিনি বললেন, “একেবারেই না। প্রথম দিকে সংলাপ বলতে সমস্যা হত। কারণ, এই ধারাবাহিকের সংলাপ বলার যে বিশেষ স্টাইল তা রপ্ত করা মোটেও সহজ নয়। তবে এখন অনেকটা ইউজড টু হয়ে গিয়েছি। আমার সহকর্মীরাও সাহায্য করেছেন। সিনিয়র হিসেবে গৌরবদাও খুব হেল্প করেছেন।”
আরও পড়ুন: আগামী বছর জয়া আহসানের বিয়ে! কী বলছেন তিনি?
তানাজির সেটে সকলের সামনে অজয়-কাজলের ব্যবহারে অবাক গোটা ইউনিট!
তাঁর স্বামী মথুরের চরিত্রে গৌরব চট্টোপাধ্যায়ের কথায়: “প্রথম দিকে জড়তা ছিল। বিশেষ ভাবে সংলাপ বলা এবং অন্য আর এক জন যে চরিত্রে অভিনয় করত, সেটা মাঝখান থেকে করাটাও ডিফিকাল্ট। রাসমণির সময়ের মেয়েরা পড়াশোনা করা বা বাইরে মেলামেশার সুযোগ পেতেন না। সে কারণে তাঁদের কথা বলার এক বিশেষ ধরন ছিল। তখনকার বাংলাও অন্য রকম ছিল। জড়তা কাটিয়ে ফেলেছে রোশনি। এখন বেশ ভাল কাজ করছে। প্রথম প্রথম সংলাপ বলতে আমারও সমস্যা হত।”
সম্পূর্ণার জায়গায় রোশনিকে মেনে নিতে সমস্যা হয়েছিল? গৌরব অকপট, “একটি চরিত্রের সঙ্গে অভিনয় করতে করতে একটা অভ্যাসের মতো হয়ে যায়। চরিত্র অভিনেতা চেঞ্জ হলে এক ধরনের হেজিটেশন তো হয়ই। সেটা কেটেও যায়। এখন যেমন কেটে গিয়েছে।”
জগদম্বার চরিত্রে আগে অভিনয় করতেন সম্পূর্ণা মণ্ডল। যিনি এখন ‘দুর্গা দুর্গেশ্বরী’ ধারাবাহিকের প্রধান চরিত্র ‘দুগ্গা’।
দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের আদি মূর্তির কিছু বৈশিষ্ট ছিল। সেটা কেন্দ্র করেই এগোচ্ছে ধারাবাহিকের টানাপড়েন। খুব শিগগির পর্দায় দেখা যাবে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের গল্পও।