‘অ্যাভেঞ্জার্স: সিক্রেট ওয়ার্স’-এর মাধ্যমে ফের সুপারহিরোর পোশাকে পর্দায় ফিরছেন টোনি স্টার্ক? ছবি: সংগৃহীত।
সামনে কার্যত অজেয় থ্যানোস। গন্টলেট হাতে মুখোমুখি যুদ্ধবিধ্বস্ত আয়রনম্যান। হার প্রায় নিশ্চিত। তা জানা সত্ত্বেও নাছোড়বান্দা টোনি স্টার্ক। শেষ দেখে ছাড়বে সে। স্রেফ একটা তুড়ির খেলা। তাতেই জারিজুরি খতম থ্যানোসের। কিন্তু কোথায় জয়ের উল্লাস? তত ক্ষণে অবধারিত মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছে আয়রনম্যান। শেষ মুহূর্তে সহযোদ্ধাদের চোখে জল। আর যে ফিরবে না সে। ওর বুদ্ধিদীপ্ত চিন্তাভাবনা, অদ্ভুত উদ্ভাবনী শক্তি, ক্ষুরধার কথাবার্তা সবটুকু নিয়ে না ফেরার দেশে টোনি স্টার্ক। তবে কি এখানেই শেষ আয়রনম্যানের অধ্যায়ের?
তেমনই কথা ছিল। ফেজ় ফোর বা ও চতুর্থ অধ্যায় পেরিয়ে মার্ভেল ব্রহ্মাণ্ডে এ বার জায়গা করে নেওয়ার পালা নতুন সুপারহিরোদের। স্পাইডারম্যান থেকে ডক্টর স্ট্রেঞ্জ, স্কারলেট উইচ, শাং-চি— নবীনদের জন্য জায়গা ছেড়ে বিদায় নেওয়ার কথা প্রবীণদের। তবে জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা আয়রনম্যানকে এত তাড়াতাড়ি গুডবাই বলতে নারাজ মার্ভেল ফ্যানেরা। ফ্যানেদের কথা মাথায় রেখেই মাল্টিভার্স তত্ত্বের যুক্তিতে ডক্টর স্ট্রেঞ্জের সাহায্যে আয়রনম্যান, ক্যাপ্টেন আমেরিকা ও ব্ল্যাক উইডোকে মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সে ফেরানোর কথা ভাবা হয়েছিল। তবে সম্প্রতি সামনে এসেছে একটি নতুন গুঞ্জন। ‘অ্যাভেঞ্জার্স: সিক্রেট ওয়ার্স’-এর মাধ্যমে ফের সুপারহিরোর পোশাকে পর্দায় ফিরছেন টোনি স্টার্ক, ক্রিস ইভান্স ও স্কারলেট জোহানসন। টুইটারে দাবি মার্ভেল ভক্তদের। হলিউডের গুঞ্জন অনুযায়ী, ২০২৬ সালের ১ মে মুক্তি পেতে চলেছে মার্ভেল ব্রহ্মাণ্ডের এই ছবি। চর্চিত এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যেই উত্তেজনার পারদ তুঙ্গে।
তবে এর মধ্যে বিপরীত কিছু তত্ত্বও খাড়া করেছেন বেশি কিছু টুইটার ব্যবহারকারী। ছবির চিত্রনাট্য অনুযায়ী যে ভাবে মারা গিয়েছিল আয়রনম্যান, তাতে ওর চরিত্রকে ফিরিয়ে আনা হলে গল্পের গরু গাছে উঠবে! এ যেন রানি এলিজাবেথ বা ওয়াল্টার হোয়াইটের ফিরে আসার মতো ব্যাপার, যা কখনওই সম্ভব নয়। দাবি একাধিক মার্ভেল ভক্তের।
তবে হতোদ্যম হতে রাজি নন আয়রনম্যান ভক্তেরা। ফের আয়রন স্যুটে দেখা যাবে রবার্ট ডাউনি জুনিয়রকে, আশাবাদী টোনি স্টার্ক ফ্যানেরা।