হৃতিক সুজান ৪০০ কোটি

আগামী ৩০ অক্টোবর হতে চলেছে তাঁদের ডিভোর্স। তার আগে শোনা যাচ্ছে খোরপোশ হিসেবে হৃতিক রোশন-এর কাছ থেকে ৪০০ কোটি টাকা দাবি করেছেন সুজান রোশন। তাই নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় বলিউড। খবর দিচ্ছেন ইন্দ্রনীল রায়হৃতিক-সুজান। চোদ্দো বছর আগে বেঙ্গালুরুতে বলিউডের ‘ড্রিম কাপল’-এর বিয়ে নিয়ে যতটা হইচই হয়েছিল, তাঁদের ডিভোর্স নিয়েও আলোচনা কিছু কম হচ্ছে না আজকের বলিউডে। এবং গত বছর ডিসেম্বর মাসের তেরো তারিখ, যবে থেকে তাঁরা জানিয়েছেন সেপারেশন হচ্ছে, তবে থেকেই এই ‘ডিভোর্স’ আরব সাগরের তীরের সবচেয়ে বড় গসিপ।

Advertisement
শেষ আপডেট: ৩০ জুলাই ২০১৪ ০০:০৫
Share:

হৃতিক-সুজান।

Advertisement

চোদ্দো বছর আগে বেঙ্গালুরুতে বলিউডের ‘ড্রিম কাপল’-এর বিয়ে নিয়ে যতটা হইচই হয়েছিল, তাঁদের ডিভোর্স নিয়েও আলোচনা কিছু কম হচ্ছে না আজকের বলিউডে। এবং গত বছর ডিসেম্বর মাসের তেরো তারিখ, যবে থেকে তাঁরা জানিয়েছেন সেপারেশন হচ্ছে, তবে থেকেই এই ‘ডিভোর্স’ আরব সাগরের তীরের সবচেয়ে বড় গসিপ।

এবং ধীরে ধীরে সেই গসিপ ক্রমশ গম্ভীরতর হচ্ছে।

Advertisement

প্রসঙ্গত গত ৩০ এপ্রিল, বান্দ্রার ফ্যামিলি কোর্টে ডিভোর্সের পেপার ফাইল করার পর থেকেই জোর গুঞ্জন ছিল, কত টাকা ‘অ্যালিমনি’ চেয়েছেন সুজান।

অনেকেই সেই সময় বলেছিলেন সুজান নাকি ১০০ কোটি টাকা চেয়েছেন হৃতিকের কাছে। কিন্তু পরে সেই খবর নিজেই নস্যাৎ করেন সুজান।

তবে গত সপ্তাহে তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহলের তরফ থেকে যা জানা গিয়েছে, ডিভোর্সের সেটলমেন্টের জন্য হৃতিকের কাছ থেকে নাকি ৪০০ কোটি টাকা চেয়েছেন সুজান রোশন।

এবং এই ‘৪০০ কোটি’ সংখ্যা নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় বলিউড। বিভক্ত-ও।

“হৃতিকের সম্পত্তি, ওর এনডর্সমেন্ট, ওর ব্র্যান্ড ভ্যালু— সব বিচার করেই সুজান টাকাটা চেয়েছে। এবং আমাদের মনে হয় সুজান ঠিক করেছে,” বলছেন সুজান রোশনের ঘনিষ্ঠ এক সহকারী।

ডিভোর্সের পরে ছেলে রেহান আর রিধান কাস্টডি থাকবে সুজানের

যদিও এই ব্যাপারে হৃতিক এবং রাকেশ রোশন এখনও অবধি কোনও বিবৃতি দেননি কিন্তু জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার রাতে তাঁদের আইনজীবীকে ডেকে পাঠিয়েছেন রোশন পরিবার।

হৃতিকের আইনজীবী মুখ না খুললেও জানা গিয়েছে, কোনও মতেই সুজানকে তাঁরা ৪০০ কোটি টাকা দেবেন না।

“চারশো কোটি টাকা চাওয়াটা অবশ্যই বাড়াবাড়ি। আমরা সবাই কথা বলে টাকার অঙ্কটা কমানোর চেষ্টা করছি,” বলছেন হৃতিক রোশনের ঘনিষ্ঠ এক অভিনেতা।

এর মধ্যে এ-ও জানা যাচ্ছে যে, অর্জুন রামপালের স্ত্রী মেহর জেসিয়ার সঙ্গেও সুজানের সম্পর্ক নাকি প্রায় ভাঙার মুখে।

গত ডিসেম্বরে সেপারেশনের খবর বেরোনোর পরে পরেই অর্জুনের সঙ্গে সুজানের ঘনিষ্ঠতাই বিয়ে ভাঙার প্রধান কারণ হিসেবে দেখছিলেন তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুবান্ধব। সবাইকে চমকে দিতে সেই সময় অর্জুনের স্ত্রী মেহর জেসিয়াও সুজানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন।

কিন্তু তাঁদের ঘনিষ্ঠ মহল জানাচ্ছেন, বেশ কিছু দিন যাবৎ সুজান আর মেহরের মধ্যে কোনও কথাবার্তা নেই। “সুজান আর অর্জুনের বন্ধুত্ব নিয়ে যথেষ্ট চাপে রয়েছেন মেহর। আমাদের ভয় লাগছে, এর জেরে রামপাল পরিবারও না ভেঙে যায়,” বলছেন তাঁদের এক পারিবারিক বন্ধু।

তবে ৩০ এপ্রিল ডিভোর্স পেপার ফাইল করার আগেও হৃতিক নাকি বহু বার সুজানের বাবা-মা, সঞ্জয় ও জরিন খান-এর সঙ্গে কথা বলে নিজের বিয়ে বাঁচাতে চেয়েছিলেন। এই প্রসঙ্গে সুজানের ভাই জায়েদ খানের সঙ্গেও বহু বার কথা বলেছিলেন হৃতিক। তাঁরা সুজানকে বোঝানোর চেষ্টা করলেও সুজান কিছুতেই নিজের সিদ্ধান্ত থেকে নড়েননি।

ঘনিষ্ঠ বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলে যা জানা গেল, হৃতিক একটা শেষ চেষ্টা করছিলেন ছেলে রেহানের জন্মদিনে সুজানের বাড়িতে সেই পার্টিতে যোগ দিয়ে। কিন্তু কোনও সুরাহা হয়নি।

শুধু তাই নয়, ডিভোর্সের পরে দুই ছেলে, রেহান আর রিধান যে সুজানের কাস্টডিতেই থাকবে, সে কথাও নাকি সেই জন্মদিনের পার্টিতে হৃতিককে জানিয়ে দেন সঞ্জয়-কন্যা। এখন অবধি যা খবর ৩০ অক্টোবর ডিভোর্সের দিন ঠিক হয়েছে। শোনা যাচ্ছে এ বার দিওয়ালি সেলিব্রেশনেও বেশি ধুমধাম করবেন না রোশন পরিবার। কারণ তার কিছু দিন পরেই ডিভোর্সের ডেট।

তবে তার আগে, ৪০০ কোটি টাকা নিয়ে যে আরও অনেক কাদা ছোড়াছুড়ি হবে দুই পরিবারের মধ্যে তা এই মুহূর্তেই বলে দেওয়া যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement