(বাঁ দিকে) বিদ্যা বালন। ঋতুপর্ণ ঘোষ (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
চরিত্রের দৈর্ঘ্য নয়, চরিত্রের গুরুত্ব প্রাধান্য পায় বিদ্যা বালনের কাছে। ‘গুরু’ ছবিতে রাজি হওয়ার পরে অনেকেই এই স্বল্পদৈর্ঘ্যের চরিত্রে অভিনয় না করার পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁকে। বহু বছর আগে প্রয়াত পরিচালক ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে একটি সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন বলি অভিনেত্রী। সম্প্রতি সেই ভিডিয়ো আবার ফিরে এল সমাজমাধ্যমের পাতায়।
গৌতম হালদার পরিচালিত ‘ভাল থেকো’ ছবির হাত ধরে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ বিদ্যার। শুরুতেই কথা থামিয়ে ঋতুপর্ণ বলেছিলেন, “তুই ‘হে বেবি’ আর ‘ভুল ভুলাইয়া’ ছবি করেছিস, তা নিয়ে আমি গর্ব বোধ করি। নইলে শোন, আমরা সবাই জানি, একটা ‘ভাল থেকো’ আর ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি করলে তুই এতটা নজরে আসতিস না। তুই যে ভাল ছবি করার দাবি রাখতে পারছিস, সেই জায়গাটাও আসত না তোর কাছে।” তিনি আরও জানিয়েছিলেন, বিদ্যা যে মনোযোগ পাচ্ছেন, এই দুই ছবির বাইরে পা না রাখলে তা সম্ভব হত না।
এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে অভিনেত্রী জানালেন, তিনি সব সময় বাণিজ্যিক ছবি আর অন্য ধারার ছবির মধ্যে সমতা বজায় রাখার চেষ্টা করেছেন। ‘মুন্না ভাই’ ছবির পরে দর্শকের প্রশ্নের মুখে পড়তেন অভিনেত্রী, আবার কবে ‘পরিণীতা’র মতো ছবি করবেন। বিদ্যার কথায়, “আমি আবারও ‘পরিণীতা’র মতো ছবি করতে চাই। কিন্তু আজকাল আর এই ধরনের ছবির গল্প লেখাই হয় না।”
নিয়মিত চর্চায় না থাকলে অভিনয়ে মরচে পড়ে যায়। যে কোনও শিল্পের ক্ষেত্রেই একই নিয়ম প্রযোজ্য বলে মনে করেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, ‘গুরু’ ছবিতে তাঁর অভিনীত চরিত্রটি অসাধারণ। উপরন্তু মণিরত্নমের ছবি, তাই নিজের সিদ্ধান্তে অটল ছিলেন অভিনেত্রী।