লতার কোলে ঋষি।
কারও কাছে তিনি ঋষিজি, কারও কাছে তিনি চিন্টুজি। আবার কারও কাছে শুধুই ঋষি। বলিউডকে কাঁদিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি পাড়ি দিয়েছেন অন্য জগতে। কাল ইরফানের খানের চলে যাওয়া আজ ঋষি…বলিপাড়ায় শুধুই বিষাদ।
বাক্য হারিয়েছে তাঁদের। খবরটা পাওয়ার পর ফোন হাতে নিয়ে অনেকক্ষণ বসে ছিলেন অনুষ্কা। বিশ্বাস হয়নি তাঁর। লিখেছেন, “কাল ইরফান আর আজ এই খবর। হৃদয় ফেটে যাচ্ছে।“
একটা যুগের শেষ যেন। ‘মেরা নাম জোকার’ ছবি দিয়েই ঋষি কপূরের অভিনয় জীবনের হাতেখড়ি। নায়ক হিসেবে প্রথম আত্মপ্রকাশ করেন ‘ববি’ ছবিতে। বিপরীতে ডিম্পল কাপাডিয়া। ‘ ঋষির বাবা রাজ ছিলেন সেই ছবির পরিচালক। ‘ছেলেকে লঞ্চ করছে’, উড়ে এসেছিল কটাক্ষ। ২০১২ সালে সেই ঘটনা নিয়ে প্রথম বার মুখ খুলেছিলেন ঋষি। জানিয়েছিলেন, “‘মেরা নাম জোকার’ করে বাবার অনেক ধারদেনা হয়ে গিয়েছিল। ‘ ‘ববি’তে রাজেশ খান্নাকে নেওয়ার মতো পয়সা সে সময় বাবার ছিল না। তাই বাধ্য হয়েই আমাকে নিয়েছিলেন বাবা।“
শোকস্তব্ধ বলিউড: গ্রাফিক- তিয়াসা দাস
এ দিকে ‘ববি’তো বক্স অফিসে সুপারহিট। ৭০’র দশক খুঁজে পেল এক নতুন রোম্যান্টিক নায়ক, ঋষি কপূর। সেই যুগেরই অবসান হল আজ। মন ভারাক্রান্ত প্রিয়ঙ্কা চোপড়ারও। লিখেছেন, “তোমার ওই ট্যালেন্টের মুখোমুখি হওয়া আর হবে না ঋষি স্যার।“
বলিউডে ঠোঁটকাটা হিসেবে পরিচিত কঙ্গনা রানাউতকেও নাড়িয়ে দিয়েছে ঋষি কপূরের মৃত্যু। তাঁর জীবনে যে ঋষির বেশ অবদান রয়েছে স্বীকার করে নিয়েছেন তিনিও।
সাদা-কালো ছবিতে লতা মঙ্গেশকরের কোলে ছোট্ট ঋষি। তাঁর পারিবারিক অনুষ্ঠানে লতা নিমন্ত্রিত ছিলেন। সেখানেই তোলা হয়েছিল ছবিটি। পুরনো অ্যালবাম ঘেঁটে সেই ছবি কিছু দিন আগেই লতা মঙ্গেশকরকে পাঠিয়েছিলেন ঋষি। সেই সব স্মৃতি, দিন আজ বড় বেশি মনে পড়ছে লতার। তিনি শব্দ হারিয়েছেন।
গতকাল ইরফান, আজ ঋষি, এ কোন খারাপ সময় এল বলিপাড়ার অন্দরে?