‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ ছবির পোস্টার। ছবি: সংগৃহীত।
নস্টালজিয়া ফিরে ফিরে আসে। তবে তাকে যদি পাকাপাকি ভাবে ধরে রাখা যায় এবং সবার সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া যায়, মন্দ কী! সুখবর দিলেন অভিনেতা ঋদ্ধি সেন। ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ এ বার ওটিটিতে। যখন খুশি ফিরে দেখে নেওয়া যাবে বয়ঃসন্ধির আখ্যান, বিভিন্ন প্রজন্মের মানুষ নিজেকে খুঁজে পাবেন ঋদ্ধি, ঋতব্রতদের ছোটবেলায়।
আনন্দবাজার অনলাইনকে ঋদ্ধি বললেন, ‘‘খুব ভাল লাগছে যে আট বছর পরেও আমাদের সিনেমাটা নিয়ে আবার নতুন করে চর্চা হবে। শুধু বাংলার দর্শক নন, সারা বিশ্বের মানুষ চাইলে এ বার দেখতে পারবেন ওপেন টি বায়োস্কোপ। যাঁরা বার বার ফিরে দেখতে চান, তাঁদের জন্য তো রইলই।’’ ৪ জুন থেকে ভুট-এ সম্প্রচারিত হবে ছবিটি।
ঋতব্রত তাঁর প্রিয় বন্ধু ঋদ্ধিকে নিয়ে প্রায়ই এই ছবির স্মৃতি উস্কে দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। জানিয়েছেন, তাঁরা আজও এই ছবিতেই বাঁচেন। যদিও গল্পটা ফেলে এসেছেন কিছু আগে। বয়ঃসন্ধির টানাপড়েন এবং সমস্যাজট, তবু যে সারা জীবনের সঞ্চয়!
৮ বছর আগে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায় পরিচালিত এই ছবির হাত ধরেই একসঙ্গে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ করেছিলেন ঋদ্ধি সেন, ঋতব্রত মুখোপাধ্যায় এবং সুরঙ্গনা বন্দোপাধ্যায়। শ্রীজাতের কবিতা, চন্দ্রবিন্দুর গান ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’-এর অন্যতম আকর্ষণ। অভিনয়ে একঝাঁক তরুণ তারকা ছাড়াও মন ছুঁয়েছিলেন আগের প্রজন্মের কৌশিক সেন, সুদীপ্তা চক্রবর্তী কিংবা তারও আগের প্রজন্মের পরান বন্দ্যোপাধ্যায়।
ওটিটি-মুক্তির খবর পরে ভাগ করলেও শনিবার দুপুরে এই ছবি নিয়ে আবেগমাখা পোস্ট করেছিলেন ঋদ্ধি সেনও। এই ছবি জড়িয়ে রয়েছে তাঁর কেরিয়ারের সঙ্গেও। শুটিংয়ের বিভিন্ন মুহূর্ত পোস্ট করে শ্রীজাতের একটি কবিতা ক্যাপশনে লিখেছিলেন ঋদ্ধি।
ঋদ্ধির কাছে ‘ওপেন টি বায়োস্কোপ’ একটি যাত্রা। যা শেষ হয়ে যায়নি শুরুর বছরেই, বরং খুলে দিয়েছে অনন্ত পথ। বন্ধুত্বের ক্যালাইডোস্কোপে চোখ রেখেই তিনি চিনেছেন আনন্দ, রাগ, দুঃখ, অভিমান। যেগুলি তাঁর কথায়, রঙিন কাচের টুকরোর মতো, ক্যালাইডোস্কোপের চাকা ঘোরালেই বদলে যায় রঙের সমন্বয়।