পোস্ট শেয়ার করে বিপাকে রিচা। ফাইল চিত্র
সেনাপ্রধানের পোস্ট শেয়ার করে রোষের মুখে পড়লেন অভিনেত্রী রিচা চড্ডা। পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ছিনিয়ে নিতে চলেছে ভারতীয় সেনা— উত্তরের সেনাপ্রধান লেফটেন্যান্ট উপেন্দ্র দ্বিবেদী টুইটারে এমনটাই ঘোষণা করেছিলেন সম্প্রতি। সেই পোস্ট শেয়ার করে মজার ছলে রিটুইট রিচার। লিখেছিলেন, “গলওয়ান ‘হাই’ বলছে।”
সেই রসিকতা সহজ ভাবে নিলেন না বিজেপির সদস্য মঞ্জিন্দ্র সিংহ শীর্ষ। মন্তব্যে লিখলেন, “অবমাননাকর টুইট। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে নেওয়া উচিত। দেশের জওয়ানদের অসম্মান কখনওই মেনে নেওয়া যায় না।”
নিন্দকরাও ঝাঁপিয়ে পড়লেন এই সুযোগে। রিচাকে কোণঠাসা করে তিক্ত মন্তব্য ভেসে এল। ২০২০ সালে ভারত আর চিনের মধ্যে গলওয়ান সংঘর্ষের আঁচ এখনও ফিকে হয়নি দেশবাসীর মনে। সেখানে জওয়ানদের আত্মত্যাগকে কী ভাবে ছোট করতে পারেন রিচা? উঠছে এই প্রশ্নই।
মঙ্গলবার লেফটেন্যান্ট জেনারেল উপেন্দ্র একটি বিবৃতি দিয়েছিলেন। যার ভিত্তি ছিল প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংহের এক বক্তব্য। তিনি জানিয়েছিলেন, ভারতের লক্ষ্য হবে পাক-অধিকৃত কাশ্মীরকে পুনরায় নিজের অংশ করা। আর জানান, সেনা জওয়ানরা সেই প্রস্তুতি শুরু করে ফেলেছেন ইতিমধ্যেই। গিলগিট এবং বালটিস্তান পৌঁছলেই লক্ষ্যভেদ বলে জানান। এমন কর্মসূচির প্রারম্ভে রিচা যেন জল ঢালতে চাইছেন! অভিনেত্রীর লঘু চালে চটল গেরুয়া শিবির।
বৃহস্পতিবার পরে অবশ্য রিচা ওই ‘বিতর্কিত’ টুইটটি মুছে দেন। তারপর টুইট করে সকলের কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন। অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘যদিও কাউকে আঘাত করার আমার কোনও উদ্দেশ্য ছিল না, তবুও আমার লেখা ওই তিনটি শব্দের জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।’’ এর সঙ্গেই তাঁর পরিবারের সঙ্গে যে ভারতীয় সেনার প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে সে কথাও মনে করিয়ে দিয়েছেন আলি ফজ়লের স্ত্রী। অভিনেত্রী লেখেন, ‘‘সেনাবাহিনীর ভাইরা আঘাত পেলে আমি দুঃখিত। কারণ ১৯৬০ সালের ভারত-চীন যুদ্ধে আমার দাদু কর্নেলের দায়িত্বে থাকাকালীন তাঁর পায়ে গুলি লেগেছিল। আমার মামা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্যারাট্রুপার। তাই বলা যায় সেনার আদর্শ আমার রক্তে।’’