দিদির দেওয়া নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই সুশান্তের মৃত্যু, অভিযোগ রিয়ার

সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক ৬ দিন আগে অভিনেতার সঙ্গে তাঁর দিদির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উপর ভিত্তি করেই এই অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া। সেখানে দেখা যায় প্রিয়ঙ্কা তাঁর ভাইকে লিব্রিয়াম, নেক্সিটো এবং লোনাজেপ নামের তিনটি ওষুধ খেতে বলেন। ‘অ্যাংজাইটি অ্যাটাক’-এর জন্যই নাকি সুশান্তকে এই ওষুধ দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৯:১৯
Share:

গ্রাফিক- শৌভিক দেবনাথ।

এতদিন দোষারোপের পালা শুধু একদিক থেকে চললেও এ বার পাল্টা দোষারোপ করলেন রিয়া চক্রবর্তী। মুম্বই পুলিশের কাছে সুশান্তের দিদি প্রিয়ঙ্কা সিংহ, চিকিৎসক তরুণ কুমার এবং আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে সোমবার পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন অভিনেত্রী। নকল প্রেসক্রিপশন বানিয়ে সুশান্তকে ওষুধ দেওয়ার মতো গুরুতর অভিযোগ নিয়ে এলেন তিনি।

Advertisement

রিয়ার অভিযোগ, এই ভুয়ো প্রেসক্রিপশনের মাধ্যমেই অভিনেতাকে মানসিক অবসাদের জন্য এমন কিছু ওষুধ দেওয়া হচ্ছিল যা বৈধ ভাবে কখনওই কেনা সম্ভব নয়। এই নিষিদ্ধ ওষুধ খাওয়ার ৫ দিনের মধ্যেই নাকি অভিনেতার মৃত্যু হয়। এই প্রেসক্রিপশনেই সুশান্তকে দিল্লির রামমনোহর লোহিয়া হাসপাতালের ‘আউট পেশেন্ট ডিপার্টমেন্ট’-এর রোগী বলে উল্লেখ করা হয়। তার মানে, তিনি সাময়িক চিকিৎসার জন্য ওই দিন সেখানে উপস্থিত ছিলেন।অথচ সেখানে উল্লেখ করা দিনটিতে, অর্থাৎ ৮ জুন সুশান্ত মুম্বইতে ছিলেন।

সুশান্তের মৃত্যুর ঠিক ৬ দিন আগে অভিনেতার সঙ্গে তাঁর দিদির হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের উপর ভিত্তি করেই এই অভিযোগ দায়ের করেন রিয়া। সেখানে দেখা যায় প্রিয়ঙ্কা তাঁর ভাইকে লিব্রিয়াম, নেক্সিটো এবং লোনাজেপ নামের তিনটি ওষুধ খেতে বলেন। ‘অ্যাংজাইটি অ্যাটাক’-এর জন্যই নাকি সুশান্তকে এই ওষুধ দেন তিনি।

Advertisement

অথচ এই তিনটি ওষুধকে টেলি মেডিসিনস প্র্যাকটিস গাইডলাইনসে ক্ষতিকর এবং নিষিদ্ধ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। রিয়া জানান, ভাইবোনের মধ্যে ওষুধ নিয়ে এই আলোচনা সেই দিনই হয় যে দিন তিনি সুশান্তের বাড়ি ছেড়ে চলে যান।

আরও পড়ুন- সুশান্তের ডেথ সার্টিফিকেট নিজে হাতে নেওয়াটা কি ভুল হল? সন্দীপ-সুশান্তের চ্যাট ফাঁস

ছ’পাতার দীর্ঘ অভিযোগে রিয়া লেখেন, যারা সুশান্তকে এ ধরনের নিষিদ্ধ ওষুধ খাইয়ে তাঁকে বিপদের মুখে ঠেলে দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া খুব জরুরি।সুশান্তের মৃত্যুর পর তাঁর পরিবার দাবি করে, অভিনেতার মানসিক অবসাদের ব্যাপারে তারা কিছু জানত না। কিন্তু এই চ্যাট প্রকাশ্যে আসতেই এই কথার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। প্রিয়ঙ্কা তাঁর ভাইকে মুম্বইয়ের সব থেকে ভাল চিকিৎসক খুঁজে দেওয়ার আশ্বাসও দেন। চিকিৎসার গোপনীয়তা বজায় রাখার কথাও তিনি বলেন অভিনেতাকে।

আরও পড়ুন- সর্বক্ষণ কম্যান্ডো-সশস্ত্র রক্ষী, কঙ্গনাকে ওয়াই প্লাস নিরাপত্তা দিচ্ছে কেন্দ্র

তা হলে কি সত্যিই তাঁর দিদি ভুল ওষুধ খাওয়াতেন অভিনেতাকে? বিষক্রিয়া থেকেই কি এই মৃত্যু? রিয়ার অভিযোগ অনেক নতুন প্রশ্ন আবার সামনে নিয়ে এল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement