রিয়া চক্রবর্তী এবং শৌভিক চক্রবর্তী। টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।
আরও এক বার খারিজ করা হল অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর জামিনের আবেদন। একইসঙ্গে তাঁর ভাই শৌভিক চক্রবর্তী-সহ অন্য অভিযুক্তদের জামিনের আবেদনও খারিজ করে দেওয়া হয়। এর আগে বৃহস্পতিবার অভিনেত্রীর জামিনের আবেদন করা হলেও, তা মঞ্জুর করেননি দায়রা আদালতের বিচারপতি। সেশন কোর্টে নার্কোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি) দাবি করে, এই মুহূর্তে রিয়াকে জামিনে ছাড়া হলে তিনি প্রভাবশালী যোগাযোগ কাজে লাগিয়ে তথ্যপ্রমাণ নয়ছয় করতে পারেন।
সুশান্তের মৃত্যুর ঘটনার তদন্তে নেমে রিয়াকে মাদকযোগে গত ৮ সেপ্টেম্বর গ্রেফতার করা হয়। অভিনেত্রীকে পেশ করা হয় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। তাঁর ১৪ দিনের বিচাবিভাগীয় হেফাজত মঞ্জুর করেন ম্যাজিস্ট্রেট। খারিজ করা হয় প্রথম দফা জামিনের আবেদন।
এ বার জামিনের আবেদনের সময় অভিযোগ আনা হয়, তাঁর থেকে জোর করে মাদক গ্রহণের ব্যাপারে স্বীকারোক্তি নেওয়া হয়েছে। রিয়া জানান, জেলে তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁকে শারীরিক অত্যাচার এবং ধর্ষণের ভয় পর্যন্ত দেখানো হয়েছে বলে দাবি অভিনেত্রীর। মানসিক এবং শারীরিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছেন বলে জানান ২৮ বছর বয়সি অভিনেত্রী।
আরও পড়ুন: জোর করে স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছে, আদালতে অভিযোগ রিয়ার
রিয়ার অভিযোগ, টানা ৮ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের সময় তাঁকে কোনও রকম ভাবেই আইনি পরামর্শ নেওয়ার জন্য তাঁর আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেওয়া হয়নি। বাড়ি থেকে জামাকাপড় এলেও তা ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: অঙ্কিতার ঘৃণাই রিয়াকে দোষী করে তুলেছে: শিবানী দন্ডেকর
অন্য দিকে, রিয়ার আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের দাবি, তাঁর মক্কেল নির্দোষ। মিথ্যা মামলায় তাঁকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি জানান, জেরার সময় কোনও মহিলা অফিসার ছিলেন না, যা আইন অনুসারে বাধ্যতামূলক।
আপাতত রিয়া বাইকুল্লা জেলে রয়েছেন। এনসিবি-র দাবি, জেরায় রিয়া স্বীকার করেন, তিনি সুশান্তকে মাদকের জোগান দিতেন। কেন্দ্রীয় সংস্থার দাবি, তিনি ড্রাগ সিন্ডিকেটের সদস্য। এনসিবি-র পাশাপাশি সিবিআই এবং ইডি এই ঘটনার তদন্ত চালাচ্ছে। ইতিমধ্যেই এমস-এ সুশান্তের ভিসেরা ফের পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে, বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু ঘটেছে কিনা জানার জন্য।