রিয়া আত্মগোপন করেননি, মুখ খুললেন তাঁর কৌঁসুলি

গত কয়েক দিন ধরেই বিহার পুলিশ থেকে শুরু করে রিয়ার ফ্ল্যাটের দেহরক্ষীও দাবি করে আসছেন, রিয়া ‘নিরুদ্দেশ’।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ১৯:৫১
Share:

রিয়া।

আত্মগোপন করেননি রিয়া, নিরুদ্দেশও নন— রিয়া চক্রবর্তীর ‘নিরুদ্দেশ’ হওয়ার খবরে অবশেষে মুখ খুললেন তাঁর আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে।

Advertisement

গত কয়েক দিন ধরেই বিহার পুলিশ থেকে শুরু করে রিয়ার ফ্ল্যাটের দেহরক্ষীও দাবি করে আসছেন, রিয়া ‘নিরুদ্দেশ’। রিয়ার ফ্ল্যাটের রক্ষী জানান, গভীর রাতে পরিবারের বাকি সদস্যের সঙ্গে এক নীল গাড়িতে বাড়ি ছাড়তে দেখা গিয়েছে তাঁকে। এরই পাশাপাশি বিহার পুলিশের ডিজি গুপ্তেশ্বর পাণ্ডে বলেন, “রিয়া যে কোথায় রয়েছেন তা খুঁজে বের করাই মুশকিল হয়ে উঠেছে। কোনও রকম তথ্য ছাড়াই তিনি লুকিয়ে রয়েছেন। আমাদের টিম ওঁকে খুঁজে চলেছে।’’ পাণ্ডে আরও বলেন, রিয়া যেহেতু মুম্বইয়ের বাসিন্দা তাই তাঁর ব্যক্তিগত সোর্সও রয়েছে, তাঁরাই হয়তো লুকিয়ে থাকতে সাহায্য করছেন রিয়াকে।

সোমবার এই সব মন্তব্যকে কার্যত নস্যাৎ করে রিয়ার আইনজীবী বলেন, “এই তথ্য ঠিক নয়। মুম্বই পুলিশ তাঁর বয়ান আগেই রেকর্ড করেছে। এর আগে যখনই তাঁকে ডাকা হয়েছে তখনই পুলিশকে পূর্ণ সহযোগিতা করেছেন রিয়া।” মানশিন্ডের আরও বক্তব্য, “এখনও পর্যন্ত বিহার পুলিশের তরফ থেকে কোনও রকম নোটিস বা পরোয়ানা জারি করা হয়নি।’’ এই মামলায় বিহার পুলিশের তদন্ত করার কোনও এক্তিয়ার নেই বলেই দাবি করেন সতীশ। যদিও এই মুহূর্তে রিয়া কি মুম্বইয়ের বাড়িতেই রয়েছেন না তাঁর বর্তমান ঠিকানা অন্য, তা নিয়ে কিছু জানাননি ওই আইনজীবী।

Advertisement

আরও পড়ুন- রিয়া ‘নিরুদ্দেশ’, লুকআউট নোটিস জারির ভাবনা বিহার পুলিশের

অন্য দিকে পটনা পূর্বের পুলিশ সুপার বিনয় তিওয়ারি এ দিন বলেন, “এখনই রিয়াকে গ্রেফতার করার প্রয়োজন নেই বলে আমরা মনে করছি।’’ তবে প্রয়োজনে রিয়াকে তাঁদের হেফাজতে নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

একই ঘটনায় দু’টি রাজ্য থেকে দু’টি পৃথক এফআইআর দায়ের এবং দু’টি সমান্তরাল মামলা না-চালিয়ে প্রথম হওয়া মুম্বই পুলিশের মামলাকেই স্বীকৃতি দেওয়ার আর্জি জানিয়ে গত বুধবার সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন রিয়া। তিনি আরও জানিয়েছিলেন, তদন্তের প্রথম দিন থেকে তিনি মুম্বই পুলিশের সঙ্গে সহযোগিতা করে আসছেন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে এই আবেদনের বিরোধিতা করে সুশান্তের পরিবার ও বিহার সরকার। পরিবারের বক্তব্য ছিল, পটনায় থাকা সুশান্তের আত্মীয়দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে দেননি রিয়া। যার সুযোগ নিয়ে সুশান্তের থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নিতে পেরেছেন তিনি। ফলে অপরাধের শুরু পটনাতেই।

সুশান্তের অস্বাভাবিক মৃত্যু কাণ্ডে এখনও পর্যন্ত মোট ছ’জনকে জেরা করেছে বিহার পুলিশ। এঁদের মধ্যে রয়েছেন সুশান্তের বন্ধু মহেশ শেট্টি এবং প্রাক্তন প্রেমিকা অঙ্কিতা লোখন্ডে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement