রেখা ও অমিতাভের যোগাযোগা অক্ষুন্ন। ছবি: সংগৃহীত।
স্ত্রী জয়া বচ্চনের সঙ্গে ৫০টা বসন্ত পার করেছেন অমিতাভ বচ্চন। সত্তরের দশকে বাঙালি অভিনেত্রী জয়া ভাদুড়িকে বিয়ে করেন তিনি। ১৯৭৩ সাল থেকে ২০২৩, দাম্পত্য জীবনের লম্বা ইনিংস অমিতাভ-জয়ার। মাঝে টালমাটাল পরিস্থিতি তৈরি হলেও দাম্পত্য অটুট রাখতে পেরেছেন তাঁরা।
তবু, অমিতাভের একাধিক সম্পর্কের গুঞ্জন এসেছে বার বার। যার মধ্যে সব থেকে চর্চিত অভিনেত্রী রেখার সঙ্গে অমিতাভের সম্পর্কের কথা। যদিও এক সময়ে জয়ার মাধ্যমেই অমিতাভের সঙ্গে পরিচয় হয় রেখার। কানাঘুষো অমিতাভর সঙ্গে নাকি প্রেমের সম্পর্কে জড়ান রেখা। পরিণতি পায়নি সেই ভালবাসা। কিন্তু বিভিন্ন সময় খোলাখুলি ভাবে অমিতাভের প্রতি নিজের ভালবাসার কথা জানান তিনি। বহু বছর আগের সম্পর্ক এখন আর তাজা নয়, তাঁদের নাকি সে ভাবে যোগাযোগও নেই। তবু রেখা নাকি নিয়মিত খোঁজ রাখেন অমিতাভের!
দীর্ঘ ফিল্মি গ্রাফে নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে আজ রেখা কিংবদন্তি। ৭০ বছর বয়সেও তিনি তণ্বী। তাঁর সৌন্দর্য, সাজ আজও নজর কাড়ে যে কোনও অনুষ্ঠানে। তবে, তাঁর সাজের একটি বিশেষ দিক অনেকের কাছেই রহস্য— রেখার সিথিতে সিঁদুর। দীর্ঘ দিন ধরেই অনুরাগীদের কৌতূহল, অভিনেত্রীর সিঁদুর পরার কারণ ঠিক কী? ১৯৯০ সালে শিল্পপতি মুকেশ আগরওয়ালকে বিয়ে করেন রেখা। কিন্তু বহু বছর আগেই অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় অভিনেত্রীর স্বামীর। যদিও সিঁদুর পরা বন্ধ করেননি অভিনেত্রী। যে কোনও অনুষ্ঠানে দেখা যায় সিঁথিভর্তি লাল সিঁদুর। এই প্রসঙ্গে বেশ কয়েক বছর আগে এক সাক্ষাৎকারে রেখা বলেন, ‘‘আমি যে শহরের মেয়ে, সেখানে সিঁদুর পরা একটা ফ্যাশন।’’ যদিও তার পরও রেখাকে নিয়ে গুঞ্জন থামেনি। ২০০৮ সালে রেখা ফের জানান, সিঁদুর তাঁকে মানায়, তাই পরেন। লোকে কী বলছে সে সবে পাত্তা দেন না। এ বার কপিল শর্মার অনুষ্ঠানে রেখা আসতেই উঠল অমিতাভ প্রসঙ্গ। কপিল অভিনেত্রীকে জানান তাঁর সঙ্গে অমিতাভের ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’তে সাক্ষাতের মুহূর্তের কথা। কপিলের মায়ের সঙ্গে অমিতাভের কথোপকথনের প্রসঙ্গে টানতেই, জবাব এল রেখার তরফে। অমিতাভ সেই অনুষ্ঠানে কপিলকে কী বলছিলেন হুবহু বলে দেন অভিনেত্রী এবং জানান, তিনি ‘কেবিসি’-র প্রতিটি পর্বই দেখেন। সমস্ত সংলাপ নাকি মুখস্থ তাঁর। বেশ কয়েক বছর আগে রেখা বলেছিলেন, ‘‘অমিতাভকে ভালবাসার জন্য তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার প্রয়োজন নেই। মাঝে মধ্যে কোনও অনুষ্ঠানে দেখা হয় সেটাই অনেক আমার কাছে।’’ রেখা যেমনটা বলেছিলেন তেমনটাই যেন মেনে চলছেন নিজের জীবনে।