রুপোলি পর্দার তারকাদের ব্য়ক্তিগত জীবন অনেক সময়েই থাকে পর্দার আড়ালে। বিগত দশকের তারকাদের ক্ষেত্রে এই ট্রেন্ড অনেকটাই সত্যি। চিরসবুজ রেখার জীবনের বেশিরভাগ অংশই রহস্য়াবৃত। অনেকেই জানেন না রেখার ছ’জন বোন আছেন। রেখার মতো সুপারস্টার না হলেও নিজেদের কাজের দুনিয়ায় তাঁরা স্বমহিমায় উজ্জ্বল।
রেখার বাবা জেমিনী গণেশন ছিলেন তামিল ছবির ইন্ডাস্ট্রির সুপারস্টার। তিন বার বিয়ে করেছিলেন তিনি। প্রথম পক্ষের বিয়েতে চার মেয়ে, দ্বিতীয় পক্ষে দুই মেয়ে এবং তৃতীয় পক্ষের বিয়েতে একটি মেয়ে ও একটি ছেলের বাবা হন তিনি।
রেখা এবং রাধা ছিলেন জেমিনীর দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তান। ছোট থেকেই অভিনয় করতে শুরু করেছিলেন তাঁরা। জেমিনীর অন্য সন্তানরাও ছোট থেকেই স্বাবলম্বী হওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। বাবার সঙ্গে তিক্ততা থাকলেও বৈমাত্রেয় ভাইবোনদের সঙ্গে রেখার সম্পর্ক ভাল ছিল।
রেখার বাকি পাঁচজন বৈমাত্রেয় বোন হলেন রেবতী স্বামীনাথন, কমলা সেলভারাজ, জয়া শ্রীধর, নারায়ণী গণেশন এবং বিজয়া চামুণ্ডেশ্বরী। তাঁদের একমাত্র ভাইয়ের নাম সতীশকুমার।
রেখার নিজের বোন রাধাও ছিলেন অভিনেত্রী। দক্ষিণী ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। তবে খ্যাতির দিক দিয়ে তিনি রেখার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেননি। বিয়ের পরে রাধা সিনেমায় অভিনয় ছেড়ে দেন।
রেখার দিদি রেবতী স্বামীনাথন আমেরিকার প্রখ্য়াত চিকিৎসক। তিনি আমেরিকার ইলিনয়ে অঙ্কোলজিস্ট হিসেবে কর্মরত।
রেখার আর এক দিদি কমলা সেলভারাজও একজন চিকিৎসক। তিনি চেন্নাইয়ে কর্মরত। নিজের হাসপাতালের নাম রেখেছেন বাবা জেমিনী গণেশনের নামে—‘জি জি হাসপাতাল’।
নারায়ণী গণেশন, রেখার আর এক দিদি অবশ্য চিকিৎসক হননি। তিনি পেশায় সাংবাদিক। একটি সর্বভারতীয় সংবাদপত্রে দীর্ঘদিন তিনি কাজ করছেন সহকারী সম্পাদক হিসেবে।
রেখার আর এক বৈমাত্রেয় দিদি বিজয়া চামুণ্ডেশ্বরী প্রতিষ্ঠিত ফিটনেস এক্সপার্ট।
রেখার বৈমাত্রেয় বোন তথা জেমিনী গণেশনের সর্বকনিষ্ঠ সন্তান জয়া শ্রীধরও একজন চিকিৎসক।
খুব বিরল হলেও একটি দু’টি অনুষ্ঠানে রেখা-সহ সাতবোনকেই একসঙ্গে দেখা গিয়েছে।