কাঞ্চন-শ্রীময়ী বিয়ে প্রসঙ্গে কী বললেন ‘বন্ধু’ রুদ্রনীল? ছবি: সংগৃহীত।
রবিবার রাত থেকেই অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজের আইনি বিয়ে ঘিরে টলিপাড়ায় চর্চা শুরু হয়েছে। নবদম্পতির বিয়ের ছবিও সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছিল। অনেকেই জানেন, ইন্ডাস্ট্রিতে কাঞ্চনের সবচেয়ে পুরনো বন্ধুদের মধ্যে অন্যতম রুদ্রনীল ঘোষ। সময়ের সঙ্গে দু’জনকে ভিন্ন রাজনৈতিক শিবিরে দেখা গেলেও বন্ধুত্ব এখনও অটুট। তাই পুরনো বন্ধুর জীবনের নতুন খবর পেয়ে রুদ্রনীলও কিছুটা আবেগতাড়িত।
এই মুহূর্তে বিজেপির রাষ্ট্রীয় অধিবেশনের জন্য দিল্লিতে রয়েছেন রুদ্রনীল। কাজের ব্যস্ততার ফাঁকেই বন্ধুর বিয়ের খবর তাঁর কানে পৌঁছেছে। নব্বইয়ের দশকে কেরিয়ারের শুরুর দিকে লড়াইয়ে সঙ্গী ছিলেন রুদ্রনীল, কাঞ্চন, রাজ চক্রবর্তীরা। সেখান থেকেই বন্ধুত্বের সূত্রপাত। কিন্তু রুদ্রনীল একাধিক বার কাঞ্চনকে তাঁদের মধ্যে এগিয়ে রেখেছেন। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে যোগাযোগ করা হলে রুদ্রনীল বললেন, ‘‘যদি ও কিছু করে, তা হলে সেটা নিশ্চয়ই ভেবেচিন্তেই করবে। প্রত্যেকটা মানুষের নিজস্ব সিদ্ধান্ত রয়েছে। তাই কাঞ্চন যে ভাবেই থাকুক, যার সঙ্গেই থাকুক ও যেন ভাল থাকে, সেটাই চাই।’’ লড়াইয়ের দিনে যে বন্ধুত্ব তৈরি হয়, তা সিংহভাগ সময়ে অটুট থাকে বলেই মনে করেন রুদ্রনীল। কাঞ্চনের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বেও সেটাই ঘটেছে। রুদ্রনীলের কথায়, ‘‘রাজ, পরমব্রত, কাঞ্চন— আমাদের মধ্যে একটা অন্য রকমের নিবিড় বন্ধুত্ব রয়েছে। যে যাই বলুক না কেন, মানুষ হিসাবে কাঞ্চনকে কখনও কোনও মানুষের ক্ষতি চাইতে দেখিনি। ওর কাছে সব সময়েই নিজের মনের কথা খুলে বলা যায়।’’
শ্রীময়ী জানিয়েছেন যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি দুই পরিবারের উপস্থিতিতে তিনি কাঞ্চনের সঙ্গে আইনি বিয়ে সেরেছেন। বন্ধুর বিয়ের খবর কি রুদ্রনীল আগে থেকেই জানতেন? অভিনেতা হেসে বললেন, ‘‘আমিও ঘনিষ্ঠ মহল থেকে শুনছিলাম। তার পর নিজেই কাঞ্চনকে ফোন করে ও বিয়ে করছে কি না জানতে চাই। ও বলেছিল, ‘‘কিছু হলে খুব জলদি তুই জানতে পারবি।’ আমি ওর জন্য খুবই খুশি।’’ একই সঙ্গে রুদ্রনীল জানালেন, বিগত কয়েক দিন কাজে ব্যস্ত থাকার জন্য অধিকাংশ সময়েই তাঁর ফোন বন্ধ ছিল। তাই কাঞ্চন তাঁকে ফোন করলেও হয়তো ফোনে না-ও পেয়ে থাকতে পারেন।
কাঞ্চন এই নিয়ে তৃতীয় বার বিয়ে করলেন। রাজও দ্বিতীয় বিয়ে করেছেন। এমনকি, সম্প্রতি পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও বিয়ে করেছেন। রুদ্রনীল বিয়ে নিয়ে কী ভাবছেন? অভিনেতার সহজ উত্তর, ‘‘আমি কোনও দিন বিয়ের বিপক্ষে নই। গাড়ি, বাড়ির বাইরেও কিন্তু জীবনের কিছু লক্ষ্য এবং ইচ্ছা থাকে। এই মুহূর্তে আমি সেগুলোর খুব কাছাকাছি রয়েছি। সেগুলো পূরণ হলে তার পর ভেবে দেখতে পারি।’’ অভিনেতা জানালেন, বন্ধুরাও তাঁকে নিয়ে চিন্তিত। কারণ, আড্ডায় মাঝেমধ্যেই রুদ্রনীল বিয়ে করতে ইচ্ছুক কি না, সেই প্রশ্ন ওঠে। রুদ্রনীল বললেন, ‘‘বন্ধুদের মধ্যে প্রত্যেকেই যে একটা স্থিতিশীল জায়গায় পৌঁছনোর চেষ্টা করছে সেটা দেখে আমার সত্যিই খুব ভাল লাগছে। ভবিষ্যতে কোনও দিন আমিও যদি বিয়ে করি, তা হলে আমি নিশ্চিত আমার বন্ধুরা খুশিই হবে।’’
সূত্রের খবর, আগামী ৬ মার্চ শহরে কাঞ্চন-শ্রীময়ীর সামাজিক বিয়ে। বিয়ের নিমন্ত্রণপত্র কি হাতে পৌঁছেছে রুদ্রনীলের? অভিনেতা বললেন, ‘‘আমি জানি এখনও দেরি আছে। কিন্তু এত ব্যস্ত ছিলাম যে সব দিকে সমান ভাবে নজর দিতে পারিনি। আমার মনে হয় এর মধ্যেই আমি সব জানতে পেরে যাব।’’ সোমবার রাতেই শহরে ফিরছেন রুদ্রনীল। কাঞ্চন-শ্রীময়ীর বিয়ের অনুষ্ঠানে রুদ্রনীল উপস্থিত থাকবেন বলেই জানালেন।