রানির পরিবর্তে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ ছবিতে দেখা যেতে পারত রবীনা ট্যান্ডনকে। ছবি—সংগৃহীত
কর্ণ জোহর পরিচালিত ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’(১৯৯৮) ছবিতে টিনা চরিত্রটির কথা দর্শক আজও ভোলেননি। পর্দায় রানি মুখোপাধ্যায়কে দেখা গিয়েছিল সেই চরিত্রে।
তবে, রানির পরিবর্তে এই ছবিতে দেখা যেতে পারত রবীনা ট্যান্ডনকেও। আসলে, রানির আগে অন্য অনেক অভিনেত্রীকেই চরিত্রটিতে অভিনয় করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কর্ণ জোহর। তাঁরা বিভিন্ন কারণে রাজি হননি। রবীনাও ছিলেন সেই দলে।
বেশ কিছু দিন বিরতির পর রবীনা সেই সময় ফিরেছিলেন অভিনয়ে, তাঁর মনে হয়েছিল, কেরিয়ারে তেমন কিছুই করে উঠতে পারেননি তিনি, তাঁর প্রাপ্তির ঝুলি ‘শূন্য’। কিন্তু পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করতে মন চায়নি তাঁর। এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন শাহরুখ খান এবং কাজল।
‘দিল সে’ ছবির ‘ছাইয়া ছাইয়া’ গানটির দৃশ্যেও অভিনয় করতে চাননি রবীনা। ‘আইটেম গার্ল’-এর তকমা লেগে যাক গায়ে, এমনটা চাননি অভিনেত্রী।
এক সাক্ষাৎকারে রবীনা বলেন, ‘‘কর্ণ যখন আমার কাছে ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’-এর প্রস্তাব নিয়ে এল, দুর্ভাগ্যবশত, তখন আমার কেরিয়ারের ঝুলি শূন্য। বিরতির পর আমি নতুন করে শুরু করতে চাইছিলাম। তখন একটা বিশৃঙ্খল অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। কর্ণের প্রস্তাবটা তেমনটাই ছিল, যেমনটা আমি চাইছিলাম।’’
কিন্তু করলেন না কেন? চরিত্রটা খুব সুন্দর, এ কথা জানলেও রবীনা দেখেছিলেন, সেটি মুখ্য চরিত্র নয়।
রবীনার কথায়, ‘‘ আমার পরিস্থিতিটা কর্ণকে বোঝানো মুশকিল ছিল। এখনও চরিত্রটা না করার জন্য আক্ষেপ হয়, এখনও আমরা একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’’
রবীনা অবশ্য জানান, টিনার চরিত্রে তিনি অভিনয় করলে দ্বিতীয় নায়িকার চরিত্রেই তাঁকে অভিনয় করে যেতে হত একের পর এক ছবিতে। মূল চরিত্র কোনও দিন পেতেন না।
‘রক্ষক’-এর গান ‘শেহের কি লড়কি’-তে অভিনয়ের পর পর ওই ধরনের আইটেম গানের প্রস্তাবই তিনি পেতে শুরু করেছিলেন বলে জানান রবীনা।
তাঁর কথায়, ‘‘দিল সে-র 'ছাইয়া ছাইয়া' গানে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলাম, এটা একটা বড় আক্ষেপ আমার। মণি রত্নম স্যর আর শাহরুখ, দু’জনেই ফোন করে আমায় সেই চরিত্র করতে বলেছিলেন, কিন্তু আমি ‘আইটেম গার্ল’ হিসাবে একটা বিশেষ ধাঁচের মধ্যে পড়ে যাচ্ছিলাম বলে করতে চাইনি।’’
শিল্পা শেট্টিও ফিরিয়ে দেন ওই গানে অভিনয়ের প্রস্তাব। শেষমেশ মালাইকা অরোরা নেচেছিলেন গানটিতে।