আরিয়ান ভৌমিকের বিপরীতে রাতাশ্রী দত্ত। ছবি: সংগৃহীত।
অনেক মানুষ অতীত আঁকড়ে বাঁচেন, বাঁচতে ভালবাসেন। তেমনই এক জন ফিরোজ়। বাঙালি নন, পার্সি। কলকাতাতেই বাস। শিল্প-সংস্কৃতির প্রতি ভীষণ টান। সেই টান থেকেই তিনি অ্যান্টিক জিনিসপত্রের বিক্রেতা। প্রেম, বিচ্ছেদ এবং পুরনো জিনিসের প্রতি আকর্ষণ— তাঁর জীবনকে কী ভাবে বদলে দেবে? এমনই এক সম্পর্কের গল্প নিয়ে তৈরি হচ্ছে পরিচালক-অভিনেত্রী রূপসা গুহের প্রথম ছবি ‘হাউ আর ইউ ফিরোজ়’। নামভূমিকায় পার্সি যুবক আরিয়ান ভৌমিক। এই চরিত্রে অভিনয় করছেন আরিয়ান ভৌমিক। যিনি সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ‘ইয়েতি অভিযান’, ‘কাকাবাবু হেরে গেলেন’ ছবিতে ‘সন্তু’র ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বিপরীতে রাতাশ্রী দত্ত।
বড় পর্দা তাঁকে ‘শর্মিলা ঠাকুর’ হিসেবে চেনে। রাতাশ্রী অতনু বসুর ‘অচেনা উত্তম’-এ শর্মিলা ঠাকুরের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন। মাঝে ছবি থেকে বিরতি। অভিনেত্রী এ বার পার্সি মেয়ের চরিত্রে। অভিনেত্রী থেকে সদ্য পরিচালনায় হাতেখড়ি রূপসার। তাঁর প্রথম ছবিতে রাতাশ্রী ‘সমীরা’। ইতিমধ্যেই ছবিটি বার্লিন, মস্কো-সহ সাতটি চলচ্চিত্র উৎসব ঘুরে এসেছে। এঁরা ছাড়াও ছবিতে রয়েছেন অশোক বিশ্বনাথন, অনুষা বিশ্বনাথন, খেয়া চট্টোপাধ্যায়।
এত বিষয় থাকতে কেন এক পার্সি যুবককে নিয়ে ছবি? আনন্দবাজার অনলাইন প্রশ্ন করেছিল নতুন পরিচালককে। রূপসার যুক্তি, ভালবাসা ভাষার বেড়াজালে আটকায় না। কলকাতার ভিনধর্মী, অবাঙালিদের জীবনের প্রেমপর্বকে দেখাবে ‘ফিরোজ়’।” রূপসা আদতে প্রথম ছবিতেই ব্যতিক্রমী হয়ে চেয়েছেন। পার্সি চরিত্রে অভিনয় করার লোভেই কি রাতাশ্রীও রাজি হলেন? অভিনেত্রীর কথায়, “আমায় বাঙালি ছাড়া কেউ ভাবতেই পারেন না। রূপসাদি যখন অন্য ভাষার এক নারী চরিত্রে আমায় ডাকলেন, রাজি হয়ে গেলাম।” তাঁর মতে, ‘সমীরা’ রাতাশ্রীর মতোই। ছটফটে, চনমনে, কথা বলতে ভালবাসে। একই সঙ্গে তিনি পার্সি ভাষা, সেই সমাজের আদবকায়দা জানতে পেরেছেন। সব মিলিয়ে ছবিতে কাজ করতে গিয়ে তিনি আদতে ঋদ্ধই হয়েছেন।