রণজয় বিষ্ণুর সিরিয়ালের সেটে রক্তারক্তি। ছবি: সংগৃহীত।
ধারাবাহিককে জনপ্রিয় করতে ওরফে টিআরপি বৃদ্ধির জন্য কত কিছুই তো করা হয়। হঠাৎই গল্পের মোড় ঘোরানো অথবা, সম্ভব-অসম্ভব নানা দৃশ্যের অবতারণা— সবই ঘটে। তেমন ভাবেই মাস খানেক আগে ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ ধারাবাহিকে হানা দিয়েছিল চিতা বাঘ। তার পর নায়িকা যে ভাবে সেই বাঘ তাড়িয়ে পরিবারকে বাঁচিয়েছে, তাতে হাসির রোল উঠেছে দর্শক মহলে। কটাক্ষের বাণ অবশ্য ধারাবাহিকের জনপ্রিয়তায় ভাটা ফেলতে পারেনি। এ বার সেই ধারাবাহিকের সেটেই রক্তারক্তি কাণ্ড! নায়ক রণজয় বিষ্ণুকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা। সেই মুহূর্তের ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ছে সমাজমাধ্যমে। ঘটনাটা কী?
আসলে নায়কের ঘরে রক্তারক্তি কাণ্ডের খবর দিয়েছিলেন নায়কের পর্দার বাবা অনিমেষ ভাদুড়ি। আনন্দবাজার অনলাইন এই প্রসঙ্গে অভিনেতাকে প্রশ্ন করতেই হতচকিত হয়ে পড়লেন রণজয়। খানিক বাদে থমকে বললেন, ‘‘অনিমেষদার সব কিছুতেই বাড়াবাড়ি। সব সময় কোনও না কোনও বিষয় নিয়ে আমাকে বিব্রত করতে ভালবাসেন।’’ সমাজমাধ্যমের পাতায় অভিনেতা লাল তরলের ছবি দিয়ে লেখেন, “রক্ত ও রণজয়”। সে প্রসঙ্গ উঠতে হাসতে রণজয় বলেন, ‘‘প্রতিদিন সকালে আমি শুটিংয়ে এসে আপেল, বিট, গাজর, কারিপাতা ইত্যাদি অনেক দিয়ে একটা রস খেয়ে থাকি। আজ সেটা খেতে গিয়ে পুরো বোতল উল্টে যায়। সেটারই ভিডিয়ো। তবে ওটা উল্টে যা রং হয়েছিল মেঝের তাতে সত্যিই রক্তের মতো লাগছিল। আমাদের ধারাবাহিক রক্ত দেখানোর জন্য যে রং ব্যবহার করা হয় তার থেকে বেশি বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছিল।”
কিন্তু এই বিশেষ পানীয় উল্টে যেতেই মুষড়ে পড়েন রণজয়। নিজেই বলেন, “হ্যাঁ আমি বুঝতেই পারছিলাম না এ বার আমি কী করব!” তা হলে কি সারাদিন রণজয় এ ধরনের পানীয়ের উপরই ভরসা করে থাকেন? রণজয় জানান সকালবেলা প্রায় দু’তিন ঘণ্টা ধরে প্রাতরাশ সারেন তিনি। এই ডায়েটে থাকে নানা ধরনের পানীয়, ঘি-কফি, ওটমিল ইত্যাদি।
এই মুহূর্তে সমাজমাধ্যমে ভীষণ ভাইরাল এই ঘি-কফি। রকুল প্রীত সিংহ থেকে অনুষ্কা শর্মা সকলেরই পছন্দ ঘি-কফি। রণজয়ের কথায়, ‘‘এখন সকলে এই ঘি-কফি নিয়ে মাতামাতি করছেন, কিন্তু আমি গত পাঁচ বছর ধরে এটা খাই। ভাল ত়ো লাগেই। একটা নোনতা ভাব আসে কফিতে।’’ তবে শর্ত আছে ঘি খাঁটি হতে হবে।
সমাজমাধ্যমে প্রায়ই আদুল চেহারার ছবি দেন। তাঁর জন্য নেপথ্যে যে প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে যে হয় তা বোঝাই যাচ্ছে। তবে তেল নুন ছাড়া খাবার খাওয়ায় বিশ্বাসী নয় অভিনেতা।