রানি মুখোপাধ্যায়।
রানি মুখোপাধ্যায় হাসলে নাকি মুক্তো ঝরে! এক ঢাল খোলা চুলে হাওয়া বিলি কাটলে নাকি বুকের কাছটা চিনচিন করে ওঠে পুরুষদের। এক মেয়ের মা হওয়ার পরেও রানি বলিউডের ‘পাটরানি’। অভিনেত্রী নিজের সম্বন্ধে নিজে কী ভাবেন? তিনি বলেন তিনি যেমন বেঁটে তেমনি জঘন্য তাঁর গলার স্বর। গায়ের রং-ও মাজা। কোনওটাই নায়িকা-সুলভ নয়। এই কারণেই পরিচালক রাম মুখোপাধ্যায়ের মেয়ে নাকি অভিনয়েই আসতে চাননি। এবং এ সব নিয়ে দীর্ঘ দিন হীনমন্যতায়ও ভুগেছেন।
তার পর কী হল? এই ভুল ধারণা থেকে রানিকে বের করে এনেছিলেন কমল হাসান। তিনি প্রথম তাঁকে জানিয়েছিলেন, অভিনেতার অভিনয় ক্ষমতা তাঁর উচ্চতা বা গায়ের রঙে নেই। তাঁর প্রতিভা, তাঁর কাজে। ‘বান্টি ঔর বাবলি ২’ শ্যুটের আগে বলিউড সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন অজানা কথা জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
সম্প্রতি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন রানি। সেখানেই কথাপ্রসঙ্গে উঠে আসে তাঁর প্রত্যাবর্তন, এই প্রজন্মের অভিনয় দক্ষতা এবং নতুন ছবির খুঁটিনাটি। তখনই কথায় কথায় রানি বলেন, ‘‘একে বেঁটে। গায়ের রঙ মাজা। তার উপরে গলার স্বর ফ্যাঁসফেঁসে, ভাঙা। এই নিয়ে কেউ নায়িকা হতে পারে? তাই স্বপ্ন দেখলেও অভিনয়ের কথা মুখেও আনতাম না।’’ পর্দায় রেখা, শ্রীদেবী, মাধুরী দীক্ষিতকে দেখে ‘মর্দানি’ ছবির নায়িকার সেই ধারণা আরও বদ্ধমূল হয়ে গিয়েছিল। তাঁর স্বপ্নের কথা এক মাত্র জানতেন তাঁর মা। তিনি সব সময় মেয়েকে সাহস জোগাতেন। পরে রানির এই ভুল ধারণা ভেঙে দেন দক্ষিণী ছবির সুপারস্টার। ‘কুছ কুছ হোতা হ্যায়’ দেখে রানির এই ‘হাস্কি ভয়েজ’-এর প্রেমে পড়েছিলেন অসংখ্য পুরুষ অনুরাগী।