রানি
ছবির জন্য কত কী-ই না করতে হয় শিল্পীদের। ‘মর্দানি টু’র জন্য রানি মুখোপাধ্যায়ও এমনই একটি চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন। জলে তাঁর ভয়, অথচ আন্ডারওয়াটার একটি শট করতেই হবে। অনেক টালবাহানার পরে সসম্মান সেই পরীক্ষা পার করে গেলেন রানি।
পরিচালক গোপী পুত্রন যখন প্রথম বার রানিকে স্ক্রিপ্ট পড়ে শোনান, তখনই রানি বেশ ভয় পেয়েছিলেন। ‘‘আমি ছোটবেলা থেকে বার কয়েক সাঁতার শেখার চেষ্টা করেছি। কিন্তু শিখে উঠতে পারিনি। গোপীকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, এটা বাদ দিয়ে কি ছবিটা করা যায় না?’’ তবে রানির আশঙ্কাই সত্যি হল।
ছবির শুটিং জুনেই শেষ হয়ে যায়। সাঁতার শেখার জন্য পরিচালকের কাছে সময় চেয়েছিলেন রানি। ঠিক হয়েছিল, সবশেষে এই দৃশ্যের শুটিং হবে। তবে গড়িমসি করতে করতে দিন কেটে যায়। শেষে অক্টোবরে এই দৃশ্যের শুটিং হয়।
রানির এই পরীক্ষায় পাশে ছিলেন কোচ আনিস আদেনওয়ালা। তাঁর তত্ত্বাবধানে আন্ডারওয়াটার দৃশ্যটির শুট হয়। খপোলির প্রায় ৩০ ফুট গভীর পুলে শুট হয়েছে। যদিও ছবিতে দেখানো হবে, চম্বল নদীতে চলছে অভিযান। রাতের শট বলে টিমের অনেকেরই চিন্তা ছিল। তবে শিবানী শিবাজি রাও এ যাত্রাও উতরে গেল। রানির কথায়, ‘‘সমুদ্রে না পারি, পুলে এখন থেকে সাঁতার কাটতে পারবই।’’