রণদীপ হুডা। ছবি: সংগৃহীত।
কিছু দিন আগে জীর্ণ চেহারায় রণদীপ হুডার একটি নিজস্বী নানা প্রশ্নের উদ্রেক করে। মাথায় চুল নেই, শরীরে মাংস নেই, বাইরে থেকে হাড় দৃশ্যমান। ‘স্বতন্ত্র বীর সাভারকার’ ছবির জন্য এই রূপান্তর। অভিনেতার মতে, ওজন কম রাখার এই সফর মোটেও সুখকর ছিল না।
সম্প্রতি এই বিষয় নিয়ে সরাসরি সমালোচনা করলেন অভিনেতা। বললেন, “শুধু আমার ক্ষেত্রে নয়, ছবির সঙ্গে জুড়ে থাকা প্রত্যেকের কাছে ধৈর্যের পরীক্ষা ছিল এই সফর। প্রায়শই ধৈর্যচ্যুতি ঘটত আমার। সব সময় চিন্তা হত, লম্বা সময় জুড়ে আমার ওজন কম। একটা সময়ের পরে এমন পরিস্থিতি এসেছিল, শুট শেষ করার অনুরোধ করেছিলাম, যাতে আগের মতো রোজকার খাবার খেতে পারি।”
সাভারকারের মতো চেহারার জন্য প্রায় ৩২ কেজি ওজন কমিয়েছিলেন রণদীপ। টানা ১৮ মাস কম ওজন বজায় রাখতে হয়েছিল। রণদীপ বললেন, “খুব কঠিন ছিল এই সফর। প্রায়শই দুর্বল লাগত। মনে হত, অজ্ঞান হয়ে যাব। এক জন অভিনেতার জন্য এটা এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, প্রত্যেক অভিনেতার এই দিকে নজর রাখা উচিত। চরিত্রের লুক গুরুত্বপূর্ণ। পরিকল্পনার অভাবে আমাকে ভুগতে হয়েছে।”
ভবিষ্যতে এই ধরনের অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে চান না, স্পষ্ট জানালেন অভিনেতা। তাঁর কথায়, “আরও অনুভবী মানুষের সঙ্গে কাজ করব, যাঁরা কাজের গুণমান ও আমার স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন থাকবেন। সে রকম হলে ভবিষ্যতে আরও সহজ চরিত্রে অভিনয় করব। এতটাই খারাপ পরিস্থিতি ছিল, আমি মরে যেতেও পারতাম। আগামী দিনে এই ধরনের কাজ করলে আগে চুক্তি করে নেব।”