মেয়ে বড় হয়ে কার মতো হলে খুশি হবেন রণবীর কপূর? ফাইল চিত্র।
গত নভেম্বরে কন্যাসন্তানের মা-বাবা হয়েছেন আলিয়া ভট্ট ও রণবীর কপূর। ছোট্ট রাহা কপূরকে নিয়ে সুখের সংসার আলিয়া ও রণবীরের। প্রথম সন্তান বলে কথা, তায় মেয়ে। বাবার চোখের মণি সে। তাকে এক মুহূর্তের জন্যেও কাছছাড়া করতে চান না রণবীর। সম্প্রতি ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’ ছবির প্রচারে একাধিক বার মেয়ের কথা বলেছেন অভিনেতা। রাহার হাসি দেখে তাকে ছেড়ে বেরোনোর কথা ভাবলেই মন ভেঙে যায় তাঁর, জানান ‘রকস্টার’ খ্যাত তারকা। মেয়ে বড় হয়ে কার মতো হলে খুশি হবেন তিনি? সম্প্রতি এই প্রশ্নের মুখোমুখি হন রণবীর। প্রশ্নে রণবীরের উত্তর জানলে বিস্মিত হবেন অনেকেই।
মেয়ে রাহা বড় হয়ে আলিয়ার মতো হোক, তা একেবারেই চান না রণবীর। রণবীর বলেন, ‘‘আমি আলিয়াকে বলেছি, আমি চাই বড় হয়ে মেয়েকে ওঁর মতো দেখতে হোক, তাতে ওকে দেখতে খুব সুন্দর হবে। তবে মেয়ের ব্যক্তিত্ব যেন আমার মতো হয়।’’ রণবীরের যুক্তি, ‘‘আলিয়া খুব চঞ্চল, প্রচুর বকবক করে। রাহা বড় হয়ে ওর মতো হলে আমি বিপদে প়ড়ে যাব! ওই রকম দু’জন মেয়েকে সামলানো আমার পক্ষে খুব কঠিন ব্যাপার!’’ সাফ স্বীকারোক্তি রণবীর কপূরের। রণবীরের এই মন্তব্যে মজা পেয়েছেন অনুরাগীরা। তাঁদের অনেকের মতে, ‘‘এত দিনে রণবীর তাঁর মনের মতো মানুষের সঙ্গে রয়েছেন।’’
মা হওয়ার পরে ইতিমধ্যেই কাজে ফিরেছেন আলিয়া ভট্টও। দিন কয়েক আগে কাশ্মীরে শুটিং করতে দেখা যায় রুপোলি পর্দার ‘ডার্লিং’কে। কর্ণ জোহরের ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কহানি’ ছবির জন্য শুটিং করছিলেন অভিনেত্রী। সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন মেয়ে রাহাকেও। অন্য দিকে তখন ‘তু ঝুঠি ম্যায় মক্কার’ ছবির প্রচারে ব্যস্ত রণবীর কপূর। আলিয়া ও রাহা কাছে না থাকায় নিজের প্রিয় দুই মেয়েকে মিস্ করছেন তিনি, এক অনুষ্ঠানে জানান রণবীর।