গান চালানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন রণবীর-আলিয়ার বন্ধু, পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়। আর রণবীর তাঁকে আলিয়ার পছন্দের গান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। নাচের পারফর্ম্যান্সে যোগ দিয়েছিলেন রণবীর, তাঁর মা নীতু কপূর, দিদি ঋদ্ধিমা কপূর সাহানি, তুতো বোন করিনা কপূর খান, করিশ্মা কপূর প্রমুখ। বরপক্ষের পা মেলানোর ছবিও দিয়েছেন আলিয়া।
মেহেন্দির সময়ে পরিবারের সঙ্গে রণবীর-আলিয়া
মেহেন্দির রং লাগা ভালবাসা। কনে তাঁর হাতে লিখলেন স্বামীর পছন্দের সংখ্যা। বর তাঁর হাতে লিখলেন স্ত্রীর নাম। বিয়ের আগের দিন কপুূরদের ‘বাস্তু’র বাড়িতেই অনুষ্ঠানে মেতেছিলেন দুই পরিবারের সদস্যরা এবং কতিপয় বন্ধু।
রণবীর কপূর এবং আলিয়া ভট্টের মেহেন্দি এবং সঙ্গীতানুষ্ঠানের ছবি প্রকাশ্যে। কেবল তা-ই নয়, জানা গেল অনুষ্ঠানের অন্দরমহলের খুঁটিনাটিও। জানালেন কনে আলিয়া নিজেই। গোলাপি লেহঙ্গা-চোলিতে সেজে উঠেছিলেন কনে। গলায় ছিল কুন্দনের চোকার। কপালে মাঙ্গটিকা। হাতে ফুলের মালা। গোলাপি কুর্তা আর পঞ্জাবিতে সেজেছিলেন রণবীর।
আলিয়া ছবির সঙ্গে লিখলেন, ‘মেহেন্দির দিনটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো ছিল। পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে হুল্লোড় করে সময় কেটেছে। প্রচুর ফ্রেঞ্চ ফ্রাইজের সঙ্গে বরপক্ষের নাচ দেখার সুযোগ পেয়েছি।’ জানা গেল, আলিয়ার ‘মিস্টার কপূর’ (রণবীরকে আদর করে যে নামে ডাকেন আলিয়া) তাঁর কনের জন্য একটি নাচের বন্দোবস্ত করেছিলেন।
গান চালানোর দায়িত্ব নিয়েছিলেন রণবীর-আলিয়ার বন্ধু, পরিচালক অয়ন মুখোপাধ্যায়। আর রণবীর তাঁকে আলিয়ার পছন্দের গান চালানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন। নাচের পারফর্ম্যান্সে যোগ দিয়েছিলেন রণবীর, তাঁর মা নীতু কপূর, দিদি ঋদ্ধিমা কপূর সাহানি, তুতো বোন করিনা কপূর খান, করিশ্মা কপূর প্রমুখ। বরপক্ষের পা মেলানোর ছবিও দিয়েছেন আলিয়া।
দু’টি ছবিতে আলিয়া এবং রণবীরের প্রেমের গল্প স্পষ্ট হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, রণবীরকে জড়িয়ে ধরে দাঁড়িয়ে আলিয়া। দু’জনের নাক একে অপরকে স্পর্শ করে রয়েছে। অন্য ছবিতে কেবল আলিয়ার মুখ স্পষ্ট। রণবীরের পিছন থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে। আলিয়া জাপটে জড়িয়ে ধরেছেন তাঁর ভালাবাসাকে। প্রেমের চোটে চোখও বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এই দু’টি ছবিই সাদা কালো। যেন তাঁদের প্রেমের রং এতই তীব্র যে আলাদা করে আর রঙের প্রয়োজন পড়ে না।
মেহেন্দির ছবিগুলির সঙ্গে আলিয়া লিখলেন, ‘কয়েকটি নীরব মুহূর্ত, আবেগ, চোখে জল— এমন ভাবেই সময় কাটালাম আমার ভালাবাসার সঙ্গে। জীবনে কয়েকটি দিন এমনও যায়।’