(বাঁ দিক থেকে) রণবীর কপূর, সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা ও রাম গোপাল বর্মা। ছবি: সংগৃহীত।
গত ১ ডিসেম্বর প্রেক্ষাগৃহে মুক্তির পর থেকে সবার মুখে মুখে ফিরছে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা পরিচালিত ছবি ‘অ্যানিম্যাল’। রণবীর কপূর, অনিল কপূর, রশ্মিকা মন্দনা ও ববি দেওল অভিনীত এই ছবি ইতিমধ্যে ভারতীয় বক্স অফিসে ২০০ কোটির বেশি টাকার ব্যবসা করে ফেলেছে। বিশ্বজোড়া বক্স অফিসে সেই পরিসংখ্যা ছাড়িয়ে গিয়েছে ৩৬০ কোটি টাকা। তবে বক্স অফিস সাফল্যের পাশাপাশি ‘অ্যানিম্যাল’-এর কপালে জুটেছে নিরন্তর বিতর্কও। উগ্র পৌরুষ, নরীবিদ্বেষ ও অমূলক হিংসাকে উদ্যাপন করেছে এই ছবি, দাবি দর্শক ও সমালোচকের সিংহভাগের। এ বার এই বিতর্কিত ছবি নিয়ে মুখ খুললেন বলিউডের এক বিতর্কিত পরিচালক, রাম গোপাল বর্মা।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির সমালোচনামূলক একটি লেখা সবার সঙ্গে ভাগ করে নেন ‘সত্য’-এর মতো ছবির স্রষ্টা। তাঁর মতে, ‘‘সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার ‘অ্যানিম্যাল’ ছবির বিষয়বস্তু নিয়ে, ছবিতে রণবীরের চরিত্র নিয়ে বিতর্ক তৈরি হচ্ছে ও হবেও। এমনকি, ছবির বক্স অফিস পরিসংখ্যান নিয়েও বিতর্ক তৈরি হবে। তবে সন্দীপ যে এ ভাবে নৈতিক ভণ্ডামির মুখোশ টেনে খুলে ফেলার সাহস দেখিয়েছেন, তাকে কুর্নিশ। ছবিতে মেদহীন সত্যকে তুলে ধরেছেন তিনি। এটা শুধু একটা ছবি নয়, এটা একটা সামাজিক বার্তা।’’ বঙ্গার পাশাপাশি রণবীরেরও দরাজ প্রশংসা করেছেন বলিউডের বিতর্কিত পরিচালক। তাঁর কথায়, ‘‘ছবিতে মারামারি দৃশ্যে যখন আমরা সবাই ভাবছি কী হতে চলেছে, তখন রণবীর ওই বিশালাকার মেশিন গান নিয়ে হাজির হয়। ওই দৃশ্য সন্দীপের সিনেম্যাটিক বোধের পরিচয়।’’ শুধু তাই-ই নয়, ছবিতে রণবীরের অনাবৃত দৃশ্যের জন্য পরিচালককে ‘জিনিয়াস’ তকমা দিয়েছেন রাম গোপাল বর্মা। তাঁর দাবি, রণবীর যে অভিনয় করেছেন ‘অ্যানিম্যাল’-এ, তার জন্য তিনি তাঁর জুতো চাটতেও রাজি।
অন্য দিকে, ‘অ্যানিম্যাল’ সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন বলিউডের আরও এক নামজাদা পরিচালক-প্রযোজক অনুরাগ কাশ্যপ। এখনও বঙ্গার এই ছবি দেখেননি তিনি। তবে অনুরাগের মতে, ‘‘কোনও পরিচালক কী ছবি বানাবেন, আর কী ছবি বানাবেন না— তা নির্ধারণ করার অধিকার কারও নেই। আমার ছবি নিয়েও অনেকের সমস্যা আছে। তবে আমি আশা করব, দেশের শিক্ষিত দর্শক ছোট ছোট বিষয় গায়ে মাখবেন না।’’ তবে অনুরাগের কথায়, ‘‘পরিচালকদের যেমন যে কোনও ধরনের থবি বানানোর স্বাধীনতা আছে, দর্শকেরও তা নিয়ে সমালোচনা করার, তর্ক করার অধিকার আছে। যে কোনও ছবির কাজই এটা— মানুষকে ভাবতে উদ্বুদ্ধ করা।’’