অভিনেতা রাজপাল যাদব। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
বেশ অল্প বয়সেই বিয়ে করেন অভিনেতা রাজপাল যাদব। সেই সময় কাজ করতেন এক কাপড়ের কারখানায়। বাড়িতে মা-বাবা-বোন ছাড়াও ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী। মাত্র ২০ বছর বয়সেই স্ত্রীকে হারান। সেই সময় মেয়ের বয়স ১ দিন। সন্তান প্রসব করতে গিয়েই মৃত্যু হয় অভিনেতার স্ত্রীর। নিজের হাতে স্ত্রীর মৃতদেহ সৎকার করেন। এখনও সেই যন্ত্রণা যেন রয়েছে গিয়েছে তাঁর মনের অন্দরে।
পর্দায় বরাবরই তাঁকে দেখা গিয়েছে কৌতুকাভিনেতার চরিত্রে। হাস্যরসের কারণেই তিনি জনপ্রিয় দর্শকমহলে। সদ্য ২৫ বছর পূর্ণ করেছেন এই ইন্ডাস্ট্রিতে। যদিও ২৫ বছরে এক-দু’বার বিতর্কেও জড়িয়েছেন। কিন্তু অভিনেতা রাজপালের বাইরে মানুষ রাজপালের অন্দরের যন্ত্রণা কথা এত দিন ছিল অজানা। এ বার সে কথাই প্রকাশ্যে বললেন অভিনেতা।
সালটা ১৯৯১। সেই সময় প্রথম স্ত্রীকে হারান রাজপাল। আর্থিক সঙ্গতি তেমন ছিল না। ঘর থেকে দূরে অন্য শহরে গিয়ে চাকরি করতেন কাপড়ের কারখানায়। কথা ছিল, সন্তান জন্মের সময় দেখা করবেন স্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু তা আর হল না। গর্ভে সন্তান নিয়েই মারা গেলেন অভিনেতার স্ত্রী। রাজপালের কথায়, ‘‘ওই বয়সে আবেগ নিয়ন্ত্রণে থাকে না। এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিলাম। কষ্ট করে একটা চাকরি জুটিয়েছিলাম কাপড়ের কারখানায়। ভেবেছিলাম সুখের সংসার হবে। সন্তানের জন্ম দিতে স্ত্রী গিয়ে মারা গেল। এক দিন পরেই ওঁর সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়ে উঠল না। কী কপাল!’’
প্রথম স্ত্রী মৃত্যুর পর শুরু হল তাঁর অভিনেতার হয়ে ওঠার লড়াই। ‘ন্যাশনাল স্কুল অফ ড্রামা’-তে পড়াশোনা। তার পর একাধিক টিভি শো-তে কাজ করেন রাজপাল। অবশেষে ২০০০ সালে বড় পর্দায় অভিষেক ‘জঙ্গল’ ছবির মাধ্যমে। অভিনেতা হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে সময় লেগে যায় প্রায় ১৩ বছর। প্রথম ছবি মুক্তির পর ২০০১ সালে একটি ছবির শুটিং করতে গিয়ে আলাপ হয় বর্তমান স্ত্রী রাধার সঙ্গে। দুই পরিবারের সম্মতিতেই ২০০৩ সালে ফের ঘর বাঁধেন অভিনেতা।