(বাঁ দিকে) শিল্পা শেট্টি। রাজ কুন্দ্র (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
বলিউডের অন্যতম নামজাদা অভিনেত্রী শিল্পা শেট্টি। ব্যবসায়ী ও শিল্পপতি রাজ কুন্দ্রকে ২০০৯ সালে বিয়ে করেন তিনি। ১৪ বছরের সংসার তাঁদের। এখন দুই সন্তানের মা-বাবা তাঁরা। আপাতদৃষ্টিতে সুখের সংসার হলেও বছর দুয়েক আগে রীতিমতো ঝড় নেমে আসে রাজ ও শিল্পার দাম্পত্যজীবনে। ২০২২ সাল নাগাদ পর্নোগ্রাফি মামলায় নাম জড়ায় রাজের। যার জেরে দীর্ঘ সময় হাজতবাসও হয় তাঁর। যদিও পরে জামিন পান রাজ। জেল থেকে ছাড়া পেলেও জীবনের ওই অধ্যায় ভোলেননি তিনি। রাজের কথায়, তিনি নিজে নিরপরাধ হওয়া সত্ত্বেও গুরুতর অপরাধে অভিযুক্তদের সঙ্গে জেলে রাত কাটাতে হয়েছে তাঁকে। নিজের ওই পরিণতির জন্য এ বার স্ত্রী শিল্পাকেই দায়ী করলেন রাজ।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে রাজ বলেন, ‘‘আমার মনে হয় পর্নকাণ্ডে আমি বলির পাঁঠা হয়েছি। অনেক তথ্য ভুল ভাবে পরিবেশন করা হয়েছিল।’’ গোটা ঘটনায় নাকি শিল্পারও দায় কম ছিল না, দাবি রাজের। তবে স্ত্রীর দিকে সরাসরি আঙুল তোলেননি রাজ। রাজের কথায়, ‘‘বিষয়টা আরও বেশি পরিমাণে আলোচিত হচ্ছিল, কারণ আমি শিল্পা শেট্টির স্বামী। তারকার স্বামী হওয়ার জন্য আমাকে কম খেসারত দিতে হয়নি।’’ তবে তাঁর ভাগ্যের জন্য শিল্পার কাঁধে দায় চাপাননি রাজ। বরং, রাজ বলেন, ‘‘শিল্পা পাশে থাকলে আমি যে কোনও পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করার শক্তি পাই। ও-ই আমার জীবনের সবচেয়ে বড় পাওনা।’’
নিজের হাজতবাসের অভিজ্ঞতা সিনেমার পর্দায় তুলে ধরেছেন রাজ। ইতিমধ্যেই মুক্তি পেয়েছে রাজের জীবনীচিত্রের প্রচার ঝলকও। এই ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিনেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন শিল্পার স্বামী। নিজের জীবনীচিত্রে মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন রাজ নিজেই। সম্প্রতি সেই ছবির প্রচার ঝলক মুক্তির অনুষ্ঠানে এসে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলেন শিল্পার স্বামী। তাঁর হাজতবাসের সময়ের কথা মনে পড়লেও নাকি চোখে জল চলে আসে তাঁর। তবে শুধু নিজের লড়াইয়ের কথা ভেবে নয়, নিজের পরিবারের চিন্তাতেও অস্থির হয়ে গিয়েছিলেন রাজ। এমনকি, দেশ ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে সংসার করার কথাও নাকি ভেবেছিলেন শিল্পা এবং রাজ।