রাজ চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
গত বছরেই মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ ছিল তাঁর। তিনি আর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন হবেন না। ২৯তম উৎসবে সেই অনুরোধ মঞ্জুর হয়নি। ৩০তম কলকাতা চলচ্চিত্র উৎসবে রাজ চক্রবর্তীর সেই অনুরোধ মঞ্জুর হল। এ বছরে তিনি আর বিশেষ পদাধিকারী নন। আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সত্যতায় সিলমোহর দিয়েছেন।
গত বছরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেছিলেন, ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জাঁকজমক আগের বছরগুলোকেও ছাপিয়ে যাবে। সেই উৎসবে চেয়ারপার্সন থাকছেন না রাজ! এর পিছনে কি কোনও অভিমান কাজ করছে?
প্রশ্ন শুনে রসিকতার সুযোগ ছাড়েননি বিধায়ক-প্রযোজক-পরিচালক। বলেছেন, ‘‘অভিমান’ তো আমার পরিচালিত ছবির নাম!’’ জানিয়েছেন, কোনও অভিমান নয়। ২৫তম বছর থেকে টানা এই পদ সামলেছেন। এ বার একটু বিরতি চান তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘আমি ছাড়া আরও অনেকে রয়েছেন, যাঁরা এই উৎসব আরও সফল করতে পারবেন। তাঁদেরও সুযোগ পাওয়া উচিত। ক্ষমতা কুক্ষিগত করায় বিশ্বাসী নই।’’
এর পরেই যে প্রশ্ন উঠে তা হল রাজের কুর্সি সামলাবেন কে? গুঞ্জনে ভাসছে গৌতম ঘোষের নাম। খবর, তিনিই ৩০তম চলচ্চিত্র উৎসবের সভাপতি। আনন্দবাজার অনলাইন যোগযোগ করার চেষ্টা করেছিল তাঁর সঙ্গেও। পরিচালক জানিয়েছেন, তিনি এই মুহূর্তে রোমে। তাঁর আগামী ছবির প্রিমিয়ার সেখানে হবে। আপাতত তিনি সে সব নিয়ে ব্যস্ত। তবে রাজ এই খবর একেবারে অস্বীকার করেননি। জানিয়েছেন, গৌতম ঘোষ বরাবর চলচ্চিত্র উৎসবের সঙ্গে যুক্ত। তাই তাঁর নাম উঠে আসছে। মুখ্যমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক ভাবে জানাবেন।
পরিচালক গৌতম ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।
আরও খবর, এ বছর উৎসব শুরু হবে ৪ ডিসেম্বর। চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। যে সব পরিচালক, প্রযোজক ছবি উৎসবে দেখাতে চান, প্রতিযোগিতা বিভাগে যোগ দিতে চান তাঁদের পরিচালিত-প্রযোজিত ছবি জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর। ১৫ নভেম্বর নির্বাচিত ছবির নাম আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘোষণা করা হবে। এ বছরেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিযোগিতা, এশিয়ান সিলেকশন, বাংলা প্যানোরামা, রেট্রোস্পেকটিভ, সত্যজিৎ রায় স্মারক বক্তৃতা, মাস্টারক্লাস-সহ চেনা বিভাগ থাকবে। চেয়ারপার্সন না থাকলেও রাজ আগের মতোই উৎসবে সব রকম সহযোগিতা করবেন, জানিয়েছেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।