রাঘব চড্ডা ও পরিণীতি চোপড়া। ছবি: সংগৃহীত।
সেপ্টেম্বর মাসে বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়ার সঙ্গে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন আম আদমি পার্টির সাংসদ রাঘব চড্ডা। গত মাসের শেষ দিকে রাজস্থানের উদয়পুরে লেক পিচোলার ধারে গাঁটছড়া বাঁধেন যুগল। উদয়পুরে রাঘবের সঙ্গে চার হাত এক হওয়ার পরে দিল্লিতে শ্বশুরবাড়িতেই ফেরেন পরিণীতি। বিয়ের পরে সপ্তাহখানেক রাজধানীতে রাঘবের বাংলোতেই ছিলেন তিনি। তার পরে একাই মায়ানগরীতে ফেরেন পরিণীতি। এখন মলদ্বীপে নিজের বান্ধবীদের সঙ্গে ছুটি কাটাতে ব্যস্ত নায়িকা। স্বামী রাঘবের সঙ্গে মধুচন্দ্রিমায় না গিয়ে স্নানপোশাকে সমুদ্রসৈকতে সময় কা়টাচ্ছেন তিনি। তবে বিয়ের পরেই স্বামীর থেকে দূরে থাকলেও তাঁর হাত ধরেই ভাগ্য ফিরছে রাঘবের। কী ভাবে?
খবর পাওয়া গিয়েছিল, দিল্লিতে সরকারি বাংলো খালি করার নির্দেশ পেয়েছেন রাঘব। গত সপ্তাহে দিল্লির ট্রায়াল আদালত জানায়, সরকারের তরফে উক্ত বাংলোর বরাদ্দ বাতিল হয়ে যাওয়ার পরে কোনও ভাবেই সেখানে থাকতে পারবেন না রাঘব। মঙ্গলবার দিল্লি হাইকোর্ট ট্রায়াল কোর্টের আদেশ বাতিল করে দেয়। দিল্লি হাইকোর্টের এই রায়ের পর স্বস্তিতে আপ সাংসদ। সরকারি বাংলো খালি করতে হবে না তাঁকে।
প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাস ধরেই ওই টাইপ-৭ সরকারি বাংলো নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে বিবাদ চলছে রাঘবের। ২০২২-এর সেপ্টেম্বরে তাঁকে টাইপ-৬ সরকারি বাংলো দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, আপ নেতা দিল্লির পান্ডারা রোডে টাইপ-৭ বাংলোর জন্য রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের কাছে আর্জি জানান। তাঁর সেই আবেদন মঞ্জুর তো হয়ইনি, উপরন্তু চলতি বছরের মার্চ মাসে সেই বাংলো বাতিল করে তাঁকে টাইপ-৫ বাংলো বরাদ্দ করে কেন্দ্র। এর পরেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হন আপ সাংসদ। আদালত বাংলো ছাড়ার নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ দেয়। এপ্রিল মাসে পটিয়ালা কোর্টের ওই রায়ের পরে দিল্লির পান্ডারা রোডের টাইপ-৭ বাংলোতেই থাকছিলেন রাঘব। এমনকি, বিয়ের পরে ওই বাংলোতেই গৃহপ্রবেশ হয়েছিল পরিণীতির। কানাঘুষো শোনা গিয়েছিল, বিয়ের পরে দিল্লিতেই নাকি বেশির ভাগ সময় কাটাবেন তিনি। সে ক্ষেত্রে রাঘবের সঙ্গে ওই বাংলোতেই থাকার কথা অভিনেত্রীর। আদালতের রাঘবকে বাংলো ছাড়ার নির্দেশ দেওয়ার পরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল যুগলের বাসস্থান নিয়ে। মঙ্গলবারে হাইকোর্টের রায়ের পরে ওই বাংলোতেই নিজেদের সংসার সাজাতে পারবেন বলেই মনে করছেন পরিণীতি ও রাঘব।