Rafiath Rashid Mithila

Mithila-Shabnam-Tahsan: বাংলাদেশে কয়েকশো কোটির প্রতারণা, জেরার মুখে পড়বেন মিথিলা, শবনম, তাহসান?

ই-কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে বিপুল প্রতারণার অভিযোগ। সংস্থার শুভেচ্ছাদূত হিসেবে এই মামলাতেই নাম জড়াল তিন তারকার।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬:০৫
Share:

মিথিলা, তাহসান এবং শবনম ফারিয়া

বাংলাদেশের এক ই-কমার্স সংস্থার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ। বিপুল টাকা আত্মসাতের অভিযোগে শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রতারণার অভিযোগে জেলে। এই মামলাতেই নাম জড়াল অভিনেত্রী মিথিলা, শবনম ফারিয়া এবং গায়ক-অভিনেতা তাহসানের। শোনা যাচ্ছে, তিন তারকাকেই জেরা করা হবে। প্রয়োজনে যে কোনও সময়ে গ্রেফতারও হতে পারেন তাঁরা!

গত ৪ ডিসেম্বর ঢাকার একটি আদালতে এই তিন তারকা-সহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন সাদ স্যাম রহমান নামে এক প্রতারিত গ্রাহক। তদন্তের জন্য বিষয়টি ধানমন্ডি থানায় পাঠিয়েছে আদালত। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মিথিলা, শবনম এবং তাহসান, তিন জনকেই জেরার পরে প্রয়োজনে গ্রেফতার করা হতে পারে। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বাংলাদেশ সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মামলার তদন্ত শুরু হয়েছে।

তাহসান, মিথিলা এবং শবনম ফারিয়া ওই ই কমার্স সংস্থার সঙ্গে বিভিন্ন ভাবে যুক্ত ছিলেন। জানা গিয়েছে, সংস্থার শুভেচ্ছাদূত ছিলেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা এবং গায়ক-অভিনেতা তাহসান খান। শবনম ফারিয়া ছিলেন ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানটির প্রধান জনসংযোগ কর্মকর্তা। মামলাকারী গ্রাহকের অভিযোগ, খ্যাতনামী মানুষেরা সংস্থার মুখ হওয়ায় তাঁরা অনেকেই প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্বাসযোগ্য মনে করেছিলেন।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমকে ডিসি সাজ্জাদুর রহমান বলেছেন, ‘‘আকর্ষণীয় বিজ্ঞাপন ও বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে অসংখ্য গ্রাহককে পথে বসিয়েছে ওই সংস্থা— এমন অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। নামী-দামি তারকাদের যুক্ত করেছিল প্রতিষ্ঠানটি। জনপ্রিয় তারকাদের দেওয়া মিথ্যা প্রতিশ্রুতির ফাঁদে পা দিয়েই সর্বস্বান্ত হয়েছেন গ্রাহকেরা, অভিযোগ এমনই। এ বার তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন সাদ স্যাম রহমান নামে একজন ভুক্তভোগী। তদন্তের স্বার্থে যে-কোন‌ও সময় তাহসান, মিথিলা ও শবনম ফারিয়ারা গ্রেফতার হতে পারেন।’’

কয়েকশো কোটি টাকা প্রতারণায় অভিযুক্ত ওই ই-কমার্স সংস্থা। উল্লেখ্য, ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানে টাকা দিয়ে পণ্য অর্ডারের পর পাঁচ মাস পরেও পণ্য হাতে পাননি এক গ্রাহক। ফেরত পাননি টাকাও। অভিযোগ জানিয়ে হাইকোর্টে ওই সংস্থাটি বন্ধের আবেদন জানিয়েছিলেন এক গ্রাহক। গত মাসের মাঝামাঝি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মহম্মদ রাসেল এবং চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে টাকা আত্মসাতের মামলায় গ্রেফতার করে র‍্যাব। বর্তমানে জেলে রয়েছেন দু’জনেই। তাঁদের গ্রেফতারির পরে নিজেদের দফতরগুলি বন্ধ করে দেয় সংস্থা।

এই আর্থিক কেলেঙ্কারির ঘটনায় মিথিলাদের নাম জড়িয়ে যাওয়াই এই মুহূর্তে বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত। পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায়, আপাতত সকলের চোখ সে দিকেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement